‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের’ মতো মৌলিক অধিকার খর্বকারী কালো আইন বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এছাড়াও জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার, সংগঠন, ধর্মঘট, সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বলে জানায় দলটি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত এক নির্বাচনী ইশতেহারে এ কথা জানায় সিপিবি ।
দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ইশতেহার ঘোষণা করে বলেন সাইবার অপরাধ বন্ধ, ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সার্বজনীন করবে সিপিবি।
এছাড়াও সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াইফাই জোন তৈরিসহ সব পর্যায়ে ‘ই-গভারনেন্স চালুর কথা জানায় সিপিবি।
ইশতেহারে উল্লেখ করা হয় দেশের টেলিযোগাযোগ খাত এখন রীতিমত বিশৃঙ্খল খাতে পরিণত হয়েছে।
ক্ষমতায় গেলে ইন্টারনেট মূল্য নির্ধারণ করা সহ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধ করবে তারা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে সিপিবি। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিচ্ছে।
অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের ইশতেহার তৈরির কাজ করছে। শিগগির তারা সেগুলো প্রকাশ করবে।