গত বছরের মত আবারও ঢাকা, এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ফেমল্যাব নিয়ে এলো ব্রিটিশ কাউন্সিল।
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। যাতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
এ আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করা।
ফেমল্যাব প্রতিযোগিতার প্রত্যকে প্রতিযোগী তাদের পছন্দমতো বিষয়ে তিন মিনিটের ধারণা উপস্থাপন করতে হবে। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে থ্রি সি’র গোল্ডেন রুল অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। এ থ্রি সি হচ্ছে কনটেন্ট, ক্ল্যারিটি ও ক্যারিশমা। তিন জেলায় প্রাথমিক অডিশন পর্বের নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত মাস্টারক্লাসে অংশগ্রহণ করবে। মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করবেন যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য একজন বিজ্ঞানী। প্রাথমিক অডিশন পর্ব শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসে।
মাস্টারক্লাস সেশনে ফাইনালিস্টদের জানার সুযোগ হবে কিভাবে বিস্তৃতভাবে নতুন বৈজ্ঞানিক ধারণা তৈরি করতে হয় ও বাস্তবায়ন করতে হয় এবং কিভাবে সেটা মাত্র তিন মিনিটে মঞ্চে উপস্থাপন করতে হয়। আগামী ২২ মার্চ ঢাকায় জাতীয় গালা পর্ব অনুষ্ঠিত হবে যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে একজন ফেমল্যাবার নির্বাচিত হবে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শেলটেনহ্যাম সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।
এছাড়াও শেলটেনহ্যাম সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে পাঁচটি উপমহাদেশের ফাইনালিস্টরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে। যেখানে বিশেষজ্ঞ বিচারকরা অভিনব এবং সবার কাছে সহজে পৌঁছানো যায় এমন ধারণা নির্বাচন করবে। আর এর মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ী হতে ফাইনালিস্টরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে। শেলটেনহ্যামের ফেস্টিভ্যালের দর্শকের সামনে চূড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষ লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান দেখবে।
এ লিঙ্কের মাধ্যমে ফেমল্যাবে নিবন্ধন করা যাবে।যা চলবে ২৫ জানুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য ২০০৭ সালে ফেমল্যাব ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের অংশীদারিত্বের ফলে বৈশ্বিক এ প্রতিযোগিতায় ৯ হাজারের বেশি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করেছে।