মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিয়ের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। গত নভেম্বরের চেয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে ২০ ধাপ। গত ১ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ এই অবস্থানে এসেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওকলার স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স থেকে এমন তথ্য জানা যায়।
ওকলার স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের তথ্যমতে, গত নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেটের গতির তালিকায় ৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। যা নভেম্বরে ছিল ১০৫তম।
ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৩ দশমিক ৮৭ এমবিপিএস, আপলোড স্পিড ছিল ১০ দশমিক ৮২ এমবিপিএস এবং ল্যাটেন্সি ছিল ২৫ এমএস (মিলি সেকেন্ড)।
তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ওকলার স্পিডটেস্টে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২১তম। এক বছরের ব্যবধানে র্যাঙ্কিয়ে উন্নতি হয়েছে ২০ ধাপ।
সম্প্রতি প্রকাশিত ডিসেম্বর মাসের এ তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মালদ্বীপ। দেশদুটির অবস্থান যথাক্রমে ২২ ও ৩০তম। আর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ডাউনলোড স্পিড ৩০৩ দশমিক ২১ এমবিপিএস ও আপলোড স্পিড ২৮ দশমিক ৩৮ এমবিপিএস।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিসিএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তালিকায় বাংলাদেশ মাস ও বছর ব্যবধানে ৪ ও ২০ ধাপ এগিয়েছে, এটি খুবই ভালো দিক। তবে ওকলার প্রকাশিত এ সূচক নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, তারা কোথা থেকে তথ্য নিয়ে এ সূচক প্রকাশ করেছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
বিএমপিসিএ সভাপতি আরও বলেন, দেশে মোবাইল স্পিড ও সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। এ তালিকা দেখে খুশি হলে চলবে না। ওকলার তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৩ দশমিক ৮৭ এমবি, তবে বাস্তবে এ স্পিড অনেক কম।