মোবাইল অপারেটরদের জাতীয় ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এমটব-এর মহাসচিব লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেছেন, মোবাইল শিল্পখাত এদেশে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট প্রাপ্তির অন্যতম প্রধান উৎস। দুঃখজনকভাবে এই খাতের ওপর প্রযুক্ত বিবিধ কর দেশের অন্যান্য খাতের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মাত্রা যথেষ্ট বেশি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দেশের মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট পূর্ব আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।সভায় এমটব প্রতিনিধিরা টেলিকম সংক্রান্ত আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক বিষয়ে ২১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, মোবাইল শিল্পের অবকাঠামোর ওপর দেশের সার্বিক ডিজিটাইজেশন প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। পাশাপাশি মোবাইল সেবার মাধ্যমেই ব্যাংকিং, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, রাইড শেয়ারিং, ই-কমার্স, শিক্ষা কিংবা ই-কুরিয়ারসহ সব খাত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এই খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধি অন্যান্য সব খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধির নির্ণায়ক।
তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে এই খাতের ওপর প্রযুক্ত বিবিধ কর দেশের অন্যান্য খাতের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এই বিষয়গুলো আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমাদের সুপারিশগুলো তুলে ধরেছি। আমরা আশা করি, আলোচিত বিষয়গুলোক এনবিআর গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে এবং এর মাধ্যমে দেশে ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকারের যে সদিচ্ছা, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।
সভায় এমটবের প্রস্তাবনাগুলো হলো- একই ব্যর্থতার কারণে দুইবার কর আরোপ ও দ্বৈতকর এড়ানো (PSR), সব সরকারি সংস্থাগুলোর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করা, কর্পোরেট করের উচ্চহার হ্রাসকরণ বা যুক্তিযুক্তকরণ, ন্যূনতম কর সমন্বয় করা এবং অসমন্বয়কৃত অংকের জের হিসাবে টানা, সিম সরবরাহের ওপর মূসক (মূল্য সংযোজন কর), টেলিকম মেশিনারি, ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়ারের জন্য পৃথক এইচএস কোড চালু।