চলতি বছরের ৭টি উল্লেখযোগ্য ও সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টেলিনর রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়র্ন হ্যানসেন।
প্রতিবেদন বলা হয়, টেলিনর গ্রুপে প্রতিবছর ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় এমন সাতটি প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এ বছরের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ডিপফেক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ৫জি’র প্রসার, আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংস, ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটস এবং সচেতনতামূলক বিষয় যেমন ডিজিটাল স্ক্রিনে থাকার সময়ের নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইল চালিত গ্রিন টেকনোলজি।
এ নিয়ে হেড অব টেলিনর রিসার্চ বিয়র্ন টালে স্যান্ডবার্গ বলেন, প্রযুক্তিবিশ্ব প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। চলতি বছর যুগান্তকারী উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার আগের যেকোনো সময়ে চেয়ে ব্যাপক পরিসরে হবে। এ উদ্ভাবন প্রতিফলন, বাস্তবিক প্রয়োগ ও প্রেক্ষিতের প্রয়োজনকেই তুলে ধরবে। এছাড়া ২০১৯ সালের প্রযুক্তির কাঁটা সেদিকেই যাচ্ছে। যত পথই পারি দিতে হোক না কেন, আমরা চাই প্রযুক্তির ব্যবহার যেন নিশ্চিতভাবে নিরাপদ, বাস্তব ও ইতিবাচক হয়।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল পি. ফোলি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত এবং একীভূত হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশব্যাপী শিল্প, প্রতিষ্ঠান ও স্টার্ট আপগুলোর কিভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিৎ তা স্পষ্টভাবেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর একটি আলোচনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী হাসান রহমান রতন, ডাটাসফট ম্যানুফ্যাসচারিং এ্যান্ড এসেম্বল ইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইন ইলিয়াস ও পাঠাও এর সিইও রেদওয়ান হাসান খান প্রমুখ।