চালু হচ্ছে আইএমইআই ডেটাবেজ। এর ফলে এখন থেকে দেশে হ্যান্ডসেট চুরি ছিনতাই বন্ধসহ বৈধ সেট আমদানির মাধ্যমে সরকারও রাজস্ব লাভ করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার(২২ জানুয়ারি) দুপুরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
সম্প্রতি মোবাইল ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিটিআরসিতে স্থাপন করা হয়েছে আইএমইআই সংক্রান্ত একটি ডেটাবেজ। সেখানে মোবাইল ফোন অপারেটরদের আমদানি করা সকল ফোনের আইএমইআই সংক্রান্ত তথ্য রাখা আছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটদের নেটওয়ার্কে থাকা আইএমইআই-ও রাখা হচ্ছে সেখানে।
আর এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে এটি ডেটাবেজ-যা ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করতে শুরু করলেও বিটিআরসি’র কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে এই ডেটাবেজ। আগামী কয়েক মাস চলবে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম। এর মধ্যে কয়েক মাস যে সব নতুন হ্যান্ডসেট বৈধভাবে আমদানি করা হবে সেগুলোই ডেটাবেজে ঢুকবে। বাকি কোনো আইএমইআই-এর আর কাজ করবে না।
আর বৈধভাবে বা অবৈধভাবে যে কোনো পদ্ধতিতে দেশে আসুক না কেনো আগামী কয়েক মাসে যে সব আইএমইআই এই ডেটাবেজে ঢুকবে সেগুলো বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবে।
তবে বৈধভাবে আমদানি না করা আইএমইআই থাকা ফোনগুলো কেবল এখন যে সিমের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে অকেজো না হওয়া পর্যন্ত সেই সিমেই কেবল হ্যান্ডসেটটি চলবে।
সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, এর পর যখন জাতীয় আইএমইআই নিবন্ধন চালু হবে তখন সিমের সঙ্গে আইএমইআই-এর নিবন্ধনে যুক্ত হয়ে যাবে। আর আগে যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন হয়েছে তখন আইএমইআই, সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্র তিনটি দিয়ে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে।
এই ডাটাবেজ কার্যকর হয়ে গেলে দেশে আর হ্যান্ডসেটের চুরি-ছিনতাই একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া অবৈধ আমাদানীও বন্ধ হয়ে যাবে এবং সরকারের রাজস্ব নিশ্চিত হবে। সর্বোপরি মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
বলা হচ্ছে, এখন বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি হয়। এর বাইরে আরও অন্তত এক কোটি হ্যান্ডসেট আসে অবৈধ পথে যেগুলো থেকে সরকার কোনো ট্যাক্স পায় না বা নিরাপত্তার দিক দিয়েও সেখানেও সমস্যা থেকে যায়।