মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালুর পর এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৩ হাজার ৬২১ জন অপারেটর বদল করেছে। এই সেবা চালুর প্রথম চার মাসে গ্রামীণফোন থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাহক অন্য অপারেটরে চলে গিয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সূত্র জানায়, গত বছরের ১ অক্টোবর বিটিআরসি এমএনপি সেবা চালু করে। বর্তমান মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগকে বলা হয়ে থাকে এমএনপি সেবা।
বিটিআরসি এর হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক এসেছে। এই গ্রাহক সংখ্যা হলো ৯৩, ৮২৮। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনে এসেছে মাত্র ১২,৩৪৬ জন গ্রাহক। বিগত চার মাসে গ্রামীণফোন থেকে ৬২,৩১৭ জন গ্রাহক অন্য অপারেটরে চলে গিয়েছে। রবি থেকে অন্য অপারেটরে গিয়েছে ২৩,৯১১ জন, বাংলালিংক থেকে অন্য অপারেটরে গিয়েছে ৪৫,০৯২ জন এবং টেলিটক থেকে ২,৩০১ জন। বাংলালিংকে এসেছে ২৫,৬১৫ জন গ্রাহক ও টেলিটকে এসেছে ২০০২ জন গ্রাহক, বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার ব্যবসায়ীদের কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান টেলিটেক বিডি এদেশে এমএনপি সেবা দিচ্ছে। এমএনপি চালুর প্রথম ৫ দিনে অপারেটর বদলাতে ১০, ১২২ গ্রাহকের অনুরোধ এসেছিল। এর মধ্যে ৪১৮১ জন অপারেটর বদলাতে সক্ষম হয়েছেন। বাকি ৫,৮৬২ জনের অনুরোধ প্রত্যাখান করা হয়েছে।
মানসম্মত সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বিটিআরসি এই সেবা চালু করে। এ প্রসঙ্গে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেছিলেন, গ্রাহক চাইলেই তার অপারেটরের নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করতে পারবেন। অথচ মোবাইল নাম্বার বদল হবে না। এতে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে মানসম্মত সেবা দিতে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
এই সেবা পেতে গ্রাহকদের ৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। নম্বর ঠিক রেখে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের এই আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বদলে যাবে তার অপারেটর। একবার অপারেটর পরিবর্তন করলে ৯০ দিন পর আবার অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে।
তবে এই সেবা নিতে হলে গ্রাহককে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বদলাতে হবে। সিম পরিবর্তনের বিষয়টি ঝামেলাপূর্ণ হলেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে এটি মেনেই নতুন এই সেবা নিতে হবে।