কোনো গ্রাহকের হাতে ১৫টির বেশি মোবাইল সিম বা রিম থাকলে নিজ উদ্যোগে অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার যে সময় দেওয়া হয়েছিল তা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ সময় দুই মাস বৃদ্ধি করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রাহক ওই সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্তি সিম নিষ্ক্রিয় না করলে কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। গত ৫ ডিসেম্বর বিটিআরসির এক নির্দেশনায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাহকদের ১৫টির বেশি সিম থাকলে তা নিক্রিয় করতে বলা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, গ্রাহক ওই সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্তি সিম নিষ্ক্রিয় না করলে কমিশন পরে নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও বন্ধ করে দেবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিমও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল ওই নোটিশে। ২০১৬ সালের ২০ জুন গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখা যাবে বলে বিটিআরসি সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তা আরও কমিয়ে গতবছরের অগাস্টে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে গত ২৪ অক্টোবর গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম বা রিম রাখার সুযোগ দেয় বিটিআরসি। কোনো গ্রাহকের পাসপোর্ট, এনআইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে কতটি সিম রয়েছে তা দুটি পদ্ধতিতে জানা যাবে। >> গ্রাহক *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করলে ইউএসএসডি কোডে তার কাছে এনআইডির শেষ চার ডিজিট জানতে চাওয়া হবে। তা লিখে সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে তার নামে থাকা সিমের সংখ্যা। >> এনআইডি নম্বরের শেষ চার ডিজিট লিখে ১৬০০১ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ওই এনআইডির বিপরীতে সিম সংখ্যা জানতে পারবেন গ্রাহক। বিটিআরসি বলেছে, কর্পোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে সিম সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিম বা রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি এ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন।