প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের মেলবন্ধন এবং প্রতিদিনকার কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করতে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চীনের শেনজেনে শুরু হয় হুয়াওয়ের ১৬তম গ্লোবাল অ্যানালিস্ট সামিট। চলবে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গড়া’র অঙ্গীকার।
এখানে অংশগ্রহণকারীরা ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে কীভাবে একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গড়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে সামিটে ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড ও স্ট্র্যাটেজিক বিষয় হুয়াওয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘ইতোমধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব তৈরি হয়েছে। আমরা এটা অনুভবন করতে পারি। বিশ্বে এখন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হুয়াওয়ে শুধু বাণিজ্যিক সফলতার জন্যই নয় বরং তারা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দেবে। আর সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সামিটে হুয়াওয়ের পরিচালনা পর্ষদের ডিরেক্টর এবং ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম জু বলেন, ‘হুয়াওয়ে ইনোভেশন ২.০ যুগের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।’
ইনোভেশন ২.০ হলো লক্ষ্যভিত্তিক তাত্ত্বিক জ্ঞান ও নতুন নতুন উদ্ভাবন। ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক রিসার্চ মূলত আগামী পাঁচ বছর বা তার বেশি সময়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা করবে।
হুয়াওয়ের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও ৬৮০টি শিল্প ও আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা এই সামিটে অংশ নেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা ধারাবাহিকভাবে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে কিভাবে একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গড়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
হুয়াওয়ের প্রথম গ্লোবাল এনালিস্ট সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালে।