সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরির জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারতীয় হাইকোর্ট। গত ২৪ এপ্রিল টিকটক অ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনানি শেষে ভারতীয় হাইকোর্টের নির্দেশে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
উক্ত আদেশে টিকটক কে ৩৬ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপত্তা নীতিমালায়’ সময়োপযোগী পরিবর্তন আনার জন্য।
টিকটক পক্ষের উকিল মোহনলাল বলেন, 'এই অ্যাপে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু আছে। এতে করে টিকটক থেকে পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল কনটেন্টের ক্ষেত্রে ফিল্টারিং করা হয়।'
সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার ফলে টিকটকের ১২০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী বিভিন্নভাবে সমস্যায় পড়ে। আর এর জন্য টিকটককে দিনে ৫ লক্ষ ডলার পরিমাণ ক্ষতি গুনতে হয়। অন্যদিকে ভারতের টিকটক বন্ধে চাকরি হারাতে বসেন ২০৫ জন।
হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে টিকটক কৃতজ্ঞতা পোষণ করে বলে, 'নতুন এই সিদ্ধান্ত তাদেরকে নতুন করে শুরু করার সুযোগ দিয়েছে এবং টিকটকের অপব্যবহার রুখতে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।'
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, 'গ্রাহকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব এবং এ বিষয়ে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।'
এ মামলার বাদী নিলেমগাম হাই কোর্টের এ সিদ্ধান্তে বলেন, 'আগামীতে এ মামলার বিপক্ষে তাদের কোন আপিল করার পরিকল্পনা নেই।' কিন্তু টিকটক যদি আদালতের দেওয়া আইন মান্য করতে না পারে তাহলে টিকটকের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞার আবেদন করবে বলে জানান।
এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ভারতে টিকটক অ্যাপ বন্ধের একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তখন হাইকোর্টের আদেশে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গুগল এবং অ্যাপেল টিকটক বন্ধের দাবি জানায়, যা কার্যকর করা হয়।
টিকটক কী
সংক্ষিপ্ত ভিডিও কনটেন্টের বেশির ভাগই বিভিন্ন ছবির সংলাপের সঙ্গে অভিনয় করা, নিজের ব্যক্তিগত ভিডিও, চেহারা বিকৃত করে এবং অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা। যার ব্যবহার সমাজে কিশোর-কিশোরী, তরুণ তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে এর ফলে সমাজে ঘটছে সাইবারবুলিং, সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ ঘটছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে।