এক পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত করা সিমগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে আজ মধ্যরাত থেকে। সে হিসাবে আর কয়েক ঘন্টা পরেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭টি সিম ।
বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা হতে সিমগুলো বন্ধ করা শুরু হবে। সংযোগ বন্ধের ৬ ঘন্টা পর থেকে অকার্যকর হয়ে পড়বে সিমগুলো।
সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন জানান, ইতোমধ্যে অপারেটরগুলো ১৫ টির বেশি সিম থাকা গ্রাহকদের জানিয়েছে যে অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব এই সিম বন্ধে আরও সময় চাইছে। সংগঠনটি বলছে, অনেক গ্রাহকের সিম মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় রয়েছে। এ জন্য ২৬ জুন পর্যন্ত সময় চাইছেন তারা, যাতে গ্রাহকরা কোনো অসুবিধায় না পড়ে।
এই ২৬ এপ্রিলের শুরুতে সিমগুলো বন্ধ করতে বেশ কিছুদিন আগেই সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি।
বিটিআরসির তথ্যে দেখা যায়, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধনের নিয়ম মানা হয়নি অন্তত এক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে।
২০১৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে সিম নিবন্ধন এবং বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন করা হলে তখন এক পরিচয়পত্রের বিরপীতে কত সিম থাকবে সেটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।
নিবন্ধন এবং বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন শেষে সেই সংখ্যা ১৫টি বেধে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির ওপরে নিবন্ধন করা সিমের সংখ্যা যোগ করলে তা ৩০ লাখ পেরিয়ে যায়।
এ পর্যায়ে গ্রাহকদেরকে বাছাই করে সিম সংখ্যা নামিয়ে আনার কথা বলা হলেও মাত্র তিন লাখের কিছু বেশি সিম বন্ধ করে অপারেটরগুলো।
এখন বিটিআরসি যেহেতু এর মধ্যে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে এবং সেখানে সবগুলো অপারেটর যুক্ত আছে তাই এখন অতিরিক্ত সিম কমিয়ে ফেলার এই পদক্ষেপ।
গ্রাহকরা কার নামে কত সিম নিবন্ধন করা রয়েছে তা গ্রাহক চাইলেও *১৬০০১# ডায়াল করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চার ডিজিট পুশ করে জেনে নিতে পাররেন।
বিটিআরসির দেওয়া নির্দেশনায় বন্ধ হতে যাওয়া সিমের তালিকায় গ্রামীণফোনের চার লাখ ৬১ হাজার ২৬১, টেলিটকের চার লাখ ৮৭ হাজার ৮৯২টি, বাংলালিংকের চার লাখ ৫৫ হাজার৮৩১, রবির চার লাখ ১৯ হাজার ২০২ এবং এয়ারটেলের ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ সিম রয়েছে।