গুগলের ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত রয়েছে বিশাল তথ্য ভাণ্ডার। তাই যেকোনো তথ্যের জন্য এখন সার্চ ইঞ্জিন গুগল অন্যতম। কিন্তু সব তথ্যই কি গুগলের? না। এসব তথ্যের সমষ্টি করে গুগল তার গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরে। কিন্তু গুগলে গানের কথা লিখে সার্চ দিলে যে রেজাল্ট আসে বা দেখায় তা গুগলের নয় এমনটাই বলছে গানের কথামালার ওয়েবসাইট জিনিয়াস।
গানের কথামালা খোঁজার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট জিনিয়াস মিডিয়া গুগলের বিরুদ্ধে কনটেন্ট চুরির অভিযোগ করেছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, গুগল জিনিয়াস মিডিয়া থেকে গানের কথা নিয়ে তাদের নিজস্ব সার্চ রেজাল্ট হিসেবে দেখায়।
কিন্তু এ বিষয়ে টেকজায়ান্ট গুগল সরাসরি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, তারা তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স করে তাদের নিজস্ব সাইটে গানের কথামালা প্রকাশ করছে।
জিনিয়াস বলছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই গুগল তাদের সাইট থেকে গানের কথা কপি করে গুগলের নিজস্ব সার্চ রেজাল্টে তা দেখায়, যা জিনিয়াস সাইটের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
জিনিয়াসের প্রধান কৌশলী কর্মকর্তা বেন গ্রস দ্যা ভার্জকে বলেন, 'গুগল এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেনি। বারংবার গুগল তাদের সাইটে জিনিয়াস থেকে নেওয়া গানের কথাগুলো প্রকাশ করেই যাচ্ছে। কিন্তু গুগল একটি বড় অপরাধ করছে যা তারা স্বীকার করছে না, তাদের উচিত এর সমাধান করা।
জিনিয়াস ওয়েব ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানায়, গুগল যে গানের কথা চুরি করে তাদের নিজস্ব সাইটে দেখাচ্ছে তা প্রমাণ করতে জিনিয়াস একটি পরীক্ষা করে। এজন্য জিনিয়াস সাইটে গানের কথার মধ্যে কিছু যতিচিহ্ন ব্যবহার করে। পরবর্তীতে দেখা যায় গুগলও ঠিক সেইব যতিচিহ্নের জায়গায় ‘ডট’ দিয়ে দেখাচ্ছে।
তবে গুগল অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, তারা যাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে, যাদের কাছ থেকে গানের কথা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জিনিয়াস ওয়েবসাইট ২০০৯ সালে গানের কথার একটি বিশাল প্লাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ২০ লাখের বেশি কন্ট্রিবিউটর, এডিটর এবং সংগীত শিল্পী তাদের সাথে কাজ করছে। তাদের প্লাটফর্মে ২৫ মিলিয়নের বেশি গান, অ্যালবাম এবং শিল্পীদের গানের কথার বিশাল তথ্যভাণ্ডার রয়েছে।
গুগল তাদের প্লাটফর্মে গানের কথা খোঁজার অপশনটি ২০১৪ সালে শুর করে। পরবর্তীতে তারা লিরিকফাইন্ড ওয়েবসাইটের সাথে জোট বাঁধে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।