আর মিটার পদ্ধতিতে নয়, এবার চালু হচ্ছে অ্যাপভিত্তিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা সার্ভিস। এজন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় ৪০ হাজার অটোরিকশা চালক অ্যাপ ব্যবহারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেই সেবাটি চালু হবে বলে জানান সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। গত বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনে উবার, পাঠাওসহ অ্যাপভিত্তিক যান চলাচল বন্ধ কারাসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি আদায়ে ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এদিকে রাইড শেয়ারিংয়ের বিরোধিতা করা এবং ঐক্য পরিষদের দাবির প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালচনার ঝর ওঠে। অনেকে রাজধানী থেকে সিএনজি অটোরিকশা তুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন দুলাল বলেন, ‘গণমাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো ভুলভাবে প্রচার হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অটোরিকশা অপসারণ করতে হবে এবং বিআরটিএ’র অনুমোদন ছাড়া যেন অ্যাপনির্ভর এসব পরিবহন না চলে। আমরা অ্যাপভিত্তিক সেবার বিরোধিতা করিনি। কারণ আমরা নিজেরাও অ্যাপে চলে যাচ্ছি।’ অ্যাপেই সিএনজি অটোরিকশা চালাবেন চালকরা উল্লেখ করে তিনি জানান, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার শিখছেন চালকরা। আর এক-দেড় মাসের মধ্যেই রাজধানীর সিএনজি অটোরিকশা মিলবে উবার, পাঠাও, স্যামের মতো রাইড শেয়ার অ্যাপে। প্রথম ধাপে চালু হবে ঢাকায়। পরে চট্টগ্রামেও চালু হবে এ সেবা। দুলাল আরও বলেন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ‘হ্যালো সিএনজি’ নামে একটি অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশাকে একই অ্যাপে সেবা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘স্যাম’। অ্যাপে চলে এলে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে দরাদরি বন্ধ হবে বলেও মনে করেন এ শ্রমিক নেতা।