অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয় বৃদ্ধি রোধে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে কর্মী ছাঁটাই করেছে বলে জানিয়েছে দেশীয় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও। কিন্তু মুখ খুলতে রাজি নন ছাঁটাইকৃত কোন কর্মকর্তা।
বুধবার(২৬ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। তারা জানায় প্রযুক্তিনির্ভর, সহজলভ্য, বিরতিহীন ও গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা নিজেদের প্রস্তুত করছে।
গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো পাঠাওয়ের বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘দেশের বৃহত্তম অন- ডিমান্ড ডিজিটাল প্লাটফরম পাঠাও ব্যবসায়িক বিকাশের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আমরা কতিপয় কৌশলগত নীতি অবলম্বন করছি যা আমাদের ব্যবসার মূল শাখাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয়বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করবে। পরিবর্তনের এই প্রভাব পাঠাওয়ের সাংগঠনিক অবকাঠামোসহ এর ব্যবসার সর্বস্তরে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর ঘটাবে।
আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি যেখানে আমাদের প্রতিটি সেবা হবে আরও প্রযুক্তিনির্ভর, সহজলভ্য, বিরতিহীন ও গ্রাহকবান্ধব। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস হলো এসব নতুন ও মৌলিক পরিবর্তন পাঠাওকে বর্তমান প্রতিযোগিতা নির্ভর বাজারে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য এনে দিবে।’
উল্লেখ্য, ২৫ জুন, মঙ্গলবার ‘তিন শতাধিক’ কর্মীকে ছাঁটাই করে পাঠাও। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছাঁটাই হওয়ার কর্মীর সংখ্যা তিন শতাধিক। মঙ্গলবার সকালে তাদের ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা পাঠাওয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। এদের মধ্যে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার ও কয়েকজন ডিপার্টমেন্টাল হেডও রয়েছেন।এ বিষয়ে পাঠাও এর ছাঁটাইকৃত বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কেউই মুখ খুলেননি
আরো পড়ুনঃ একদিনে ৩০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে পাঠাও