বলা যায় দেশে রাইড শেয়ারিং সেবাকে সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় করে তুলতে সেবা চালু করেছিলো উবার। কিন্তু সম্প্রতি হালনাগাদকৃত তালিকায় ছয়টি কোম্পানী লাইসেন্স পেলেও কোন আবেদনই আসেনি উবার এর কাছ থেকে এমনকি নেই কোন মুখপাত্র। তাই বলা যায় একরকম হাওয়া বাতাসে ব্যবসা পরিচালনা করছে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা এই প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৬ সালে দেশে প্রবেশের পর রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিলো রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবার । বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার বাংলাদেশে চালুর পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় উবার এর উপর।কিন্তু নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই সেবা দিতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
এমনকি এখন পর্যন্ত কোন দেশীয় মুখপাত্র পর্যন্ত নিয়োগ না দেয়ায় অনেক গ্রাহক হয়রানির মুখোমুখি হলেও সমস্যা সমাধানে পাওয়া যায়না কোন কতৃপক্ষকে।
উবার এর কার্যক্রম শুরুর পরই এ সেবা চালাতে করা হয় নীতিমালা । তখন ১৬ কোম্পানি লাইসেন্স পেতে আবেদন করে। ওই নীতিমালায় কিছু জটিলতা থাকায় পুরো লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া আটকে ছিল।
গেলো সপ্তাহে পিকমি’র পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নতুন করে অনুমোদন দিয়েছে পাঠাও এবং ওভাইসহ আরও পাঁচ কোম্পানিকে। তবে এগুলোর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান এখনও সেবা চালু করেনি আর ই-কমার্সে মুদি দোকান হিসাবে পরিচিত হলেও লাইসেন্স নিয়েছে চালডাল লিমিটেডও ।
লাইসেন্স পাওয়া ছয় কোম্পানি ছাড়াও বিআরটিএর কাছে আরও চারটি আবেদন জমা রয়েছে। এর মধ্যে বেশ পরিচিত সহজ রয়েছে। বাকি তিনটি একেবারেই নতুন- আকাশ টেকনোলাজি, সিগেস্তা ও প্রবাহন।