বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সহযোগিতা করছে নেদারল্যান্ডস তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন দেশটির রানী ম্যাক্সিমা।
বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশে সফররত নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমার সাথে এক বৈঠকের পর এ তথ্য জানান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সর্বশেষ উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ গত ১০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ সামাজিক সূচকের সকল খাতে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। তৃণমূল পর্যন্ত প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ৯০ মিলিয়নের অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ বৈদ্যুতিক সংযোগ, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন প্রকার সেবার ব্যাপক প্রসার ও উন্নয়ন ঘটেছে।
এছাড়াও নারী ক্ষমতায়নে, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, তরুণ উদ্যোক্তাদের পরিচর্যা, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য আইডিয়া প্রকল্প, মহিলাদের জন্য শি পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ই-কমার্স ও ই-সেবা প্রসারের লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ব্যবহার করে পরিচিতি যাচাই করণের সুবিধা আইসিটি বিভাগ হতে করা হচ্ছে বলে রানীকে অবহিত করেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন, সমন্বিত ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্মের কাজ সরকার হাতে নিয়েছে। যার মাধ্যমে গার্মেন্টস কর্মীদের ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের জন্য আরএমজি ওয়ালেট সেবা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে তরুণদের মাঝে ইমার্জিং প্রযুক্তি, এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডেটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের প্রসংশা করেন।
সরকারের এ সকল উদ্যোগকে সফল করার জন্য তিনি কেন্দ্রিয়ভাবে নতুন ব্যবসা আইনগত অনুমোদনের একক প্রতিষ্ঠান চালু করার সুপারিশ করেন। এ উদ্যোগের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন রানী ম্যাক্সিমা।
তিনি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে সম্প্রসারণের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সরকার কর্তৃক ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট প্লাটফর্ম বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজন মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন। সবশেষে উভয়দেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম, নেদারল্যান্ডস ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।