এখনই বাংলাদেশে অফিস খুলতে রাজি নয় অ্যামাজন। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের ওয়্যার হাউজগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য নিতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে অ্যামাজনের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, অ্যামাজনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে দেশের পণ্য বিক্রি করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রফতানি আয় দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে। অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের পণ্য আমেরিকা-ইউরোপের ওয়্যার হাউজগুলোতে নিয়ে নিজেদের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের নীতি ও কৌশল কেমন হবে সে বিষয়টি দেখছি আমরা।
বাংলাদেশে অ্যামাজন অফিস খুলবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশে আসবে কি না তা নির্ভর করবে তাদের ইচ্ছা ও আমাদের নীতির ওপর। তবে এখন পর্যন্ত আলোচনায় অ্যামাজন বাংলাদেশে অফিস খুলছে না।
বৈঠকে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং অ্যামাজনের কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল এক্সপানশন বিভাগের ক্যাটাগরি ম্যানেজার গগন দিপ সাগর।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সৈয়দ মজিবুল হক। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের পক্ষে ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. লিয়াকত আলী।