সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট শুধু একটি ভার্চুয়াল প্রোফাইলই নয় বরং একজন ইউজারের ব্যক্তিত্বের একটি প্রতিচ্ছবি। এজন্যই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আগ্রহীদের আবেদনে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের লিংক দিতে বলে হয়। যা থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন আবেদন কারীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে দেখবে।
কিন্তু এবার ইউএস সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসের অফিসাররা ‘ভুয়া অ্যাকাউন্ট’ খুলে ভিসা, গ্রিনকার্ড ও সিটিজেনশিপের জন্য আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল যাচাই করে দেখবে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের সাইটে বলা হয়, যে এখন থেকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। কিন্তু এর অন্যদের প্রোফাইল যাচাইয়ের জন্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা নিষিদ্ধ ছিল।
ইউনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) এক বিবৃতিতে জানায়, এ প্রক্রিয়ায় অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের কাজটি অনেক সহজ হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে ফেসবুক ও টুইটারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কিভাবে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ ফেইসবুক ও টুইটারে অন্যের পরিচয় দিয়ে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা তাদের নীতিমালার বহির্ভূত।
এ বিষয়ে টুইটার এক বিবৃতিতে জানায়, মানুষের উপর নজরদারির জন্য একজন ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা আমাদের নীতিমালা বহির্ভূত কাজ। কিন্তু টুইটার ইউএসসিআইএস এর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং তাদের কর্মপ্রক্রিয়া কি হবে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে ফেসবুক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।