যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্যানেল থেকে গুগল, ফেসবুক এবং টুইটারকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আক্রমনাত্নক কনটেন্ট মুছে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার আদেশ দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণাবাচক মন্তব্য, উগ্রবাদ এবং সহিংসতা ছড়ানোর দায়ে ফেসবুকসহ বেশকিছু মাধ্যমকে বিশ্বের বিভিন্ন নিরাপত্তা পরিষদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক সময় এসব প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি হিসেবে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ সিনেট বাণিজ্য বিভাগ এই বিষয়ে শুনানি করবে। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতা বন্ধে প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভূমিকা পালন করছে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং তা কতটুকু কার্যকর হচ্ছে।
সিনেট কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতামূলক কনটেন্ট বন্ধে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কি উদ্যোগ নিয়েছে তার সাক্ষ্য প্রমাণ দলিলসহ উপস্থাপন করতে হবে। অন্যদিকে প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সহযোগিতামূলক আচরণ করছে তা দেখা হবে।
ইতোমধ্যে ফেসবুক এবং গুগল তারা সম্মতি জানিয়েছে এই পরিকল্পনায় তারা অংশগ্রহণ করবে। তবে টুইটার এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব থেকে বেশকিছু ক্ষতিকর কনটেন্ট মুছে দেওয়া হয়েছে। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন ফেসবুক এবং গুগলে বিশাল অংকের আর্থিক জরিমানা করেছে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু কনটেন্ট মুছে দিলেই হবে, এরকম কনটেন্ট কীভাবে আপলোড হয় তা ঠেকাতে হবে।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও