সম্প্রতি স্মার্টফোনের বাজারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল ৫জি নেটওয়ার্ক ও ফোল্ডবেল ডিভাইস। এরমধ্যে স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড এবং হুয়াওয়ে মেট এক্সের স্মার্টফোন দুটি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্রেমীদের নজর কাড়ে। তবে অনেক নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে গ্যালাক্সি ফোল্ড বাজারে আসার পরেই এখন হুয়াওয়ে মেট এক্সের পালা।
এবছরের আগামী মাসেই চীনের বাজারে দেখা মিলবে হুয়াওয়ে মেট এক্স।
হুয়াওয়ে মেট এক্সের আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে একটি ডিভাইসে তিনটি ভিন্ন ডিসপ্লের সুবিধা এবং পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ডাবল ব্যাটারির সুবিধা।
হুয়াওয়ে দাবি করছে, এই ডিভাইসে ৫৫ ওয়াটের নতুন সুপারচার্জ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ৪,৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ৩০ মিনিটেই ৮৫ শতাংশ চার্জ হয়ে যাবে।
যা থাকছে হুয়াওয়ে মেট এক্সে:
হুয়াওয়ে বলছে, এই ৫জি স্মার্টফোনে হুয়াওয়ের নিজস্ব কিরিন চীপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। যা বাজারের অন্যান্য ৫জি স্মার্টফোন থেকে দুর্দান্ত পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। গত মাসে হুয়াওয়ে মেট-২০ এক্স প্রথম ৫জি স্মার্টফোনের স্বীকৃতি পেয়েছে।
বেইজিংয়ে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের পরিচালক জেমস ইয়ান বলেন, ‘চীনের ৫জি স্মার্টফোনের বাজারে হুয়াওয়ে মেট-২০ এক্স শীর্ষস্থান দখল করে নেবে।’
ফোনটির ৭.২ ইঞ্চির জায়ান্ট ডিসপ্লে এবং পেছনে রয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। এর ৫জি সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘৫জি ব্যালং ৫০০০ মডেম’ ব্যবহার করা হয়েছে। হেভি ব্রাইজিং এবং গেমারদের চাপ সামলাতে ৬/৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮/২৫৬ জিবির ইন্টারনাল মেমোরি ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, হুয়াওয়ে মেট-২০ এক্সে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
৫জি মোবাইল নেটওয়ার্ক এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করবে। যা বর্তমান ৪জি নেটওয়ার্ক থেকে ১০০ গুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে।
চীনের শহর বেইজিংকে ৫জি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করতে ৪,৩০০ ৫জি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুটো স্মার্টফোনই বাজারে আসার পূর্ব নির্ধারিত সময় ঠিক থাকলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে সময়মত আসেনি। স্যামসাং গ্যালাক্সির ডিসপ্লে ত্রুটি এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধে পিছিয়ে যায় হুয়াওয়ের মেট এক্সের বাজারে আসার সময়।
সূত্র: জীসমোচীনা