নিত্যনতুন উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে বিশ্বকে চমকের মধ্যেই রেখেছে স্যামসাং। সূত্র বলছে, টিভি বিক্রির দিক থেকে বিগত ১৩ বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ স্থানেই আছে ব্র্যান্ডটি। নকশা, ডিসপ্লে, স্মার্ট ফিচার, অডিও এবং বিক্রয়োত্তর সেবাই এ সাফল্যের কারণ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্রকে 'স্মার্ট ডিভাইস' বলা হয়। শুধু সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান নয়, এখন টিভির পরিধি বাড়ছে বহুগুণ। ইন্টারনেটের যুগে ইমেইল বিনিময়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুঁ মারাসহ দেশের সব সময়ের হাল খবর জানা যায় টিভিতে। স্মার্ট টিভিতে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত করা যায়।
স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ দেশে নিয়ে এসেছে 'আর' সিরিজের সর্বাধুনিক স্মার্ট টিভি লাইন-আপ। এসব স্মার্ট টিভির বিশেষ ফিচারের মধ্যে আছে পার্সোনাল কম্পিউটার, মিউজিক সিস্টেম, টু-ওয়ে শেয়ারিং, লাইভ কাস্ট ও হোম ক্লাউড অন্যতম।
এ ফিচারের মাধ্যমে ভোক্তারা তাদের টিভিকে কম্পিউটারের আদলে বদলে নিতে পারবেন। কম্পিউটারে যেসব কাজ করা যায় তা স্যামসাং 'আর' সিরিজের মাধ্যমে সহজেই সম্পাদনা করা যাবে।
স্মার্ট টিভিগুলোর মিউজিক সিস্টেমে আছে রঙিন গ্রাফিক্স। ভোক্তারা বাহ্যিক স্পিকারের মাধ্যমে সঙ্গীত উপভোগ করতে পারবেন ইউএসবি প্লেলিস্ট দিয়ে।
এ ফিচারের মাধ্যমে ভোক্তার ভিডিও, মিউজিক ফোন থেকে টিভি, টিভি থেকে ফোনে শেয়ার সুবিধা পাবেন।
এ ফিচারের 'স্মার্ট থিংকস' অ্যাপ ব্যবহারে ভোক্তারা লাইভ ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে, যা সকল অ্যানড্রয়েড ডিভাইসে পাওয়া যায়।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোক্তারা স্মার্টফোন থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল যেমন ছবি এবং ভিডিও স্টোর করতে পারবেন। এজন্য স্যামসাংয়ের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে। ফলে স্মার্টফোনের মেমোরি ফাঁকা থাকবে। সুরক্ষিত থাকবে তথ্য। ফাইলগুলো স্যামসাং ক্লাউড বা অ্যাকাউন্টে থাকবে।
উদ্ভাবন, নান্দনিক ডিজাইন, বহুমাত্রিক ফিচারের স্মার্ট টিভির লাইন-আপ দিয়ে ভোক্তাদের কাছে সরব থাকছে স্যামসাং। রূপান্তরমূলক ধারণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ভবিষ্যতের পণ্য উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে।