ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট মানব সভ্যতার নতুন সুযোগ। ইন্টরনেটের সঙ্গে আইওটি, বিগডাটা, এআই এবং কুয়ান্টাম কম্পিউটিং সংযুক্ত হওয়ার ফলে আগামী পাঁচ বছর পরের পৃথিবী হবে অকল্পনীয়। ইন্টারনেটের বিশাল সুযোগ কাজে লাগাতে ইন্টারনেট ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ১৪তম বাংলাদেশ ফোরাম (বিআইজিএফ) ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বিআইজিএফ সভাপতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার'র পলিসি এন্ড কমিউনিটি বিষয়ক সিনিয়র এডভাইসর শ্রীনিবাস গাউদ চেন্দি এবং আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বা না চাই ইন্টারনেট সভ্যতা ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হবে। ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক আমাদের কাজে লাগাতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ইন্টারনেটকে সাইড লাইনে রাখার সুযোগ নেই। ২০০৮ সালে দেশে মাত্র আট লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো যা বর্তমানে প্রায় ১০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। সে সময় দেশে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হতো মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস বর্তমানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে ১২শ' ৫০ জিবিপিএস।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসওএফ তহবিলের মাধ্যমে দেশের ৪০টি দ্বীপ, চরাঞ্চলসহ দুর্গম এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ছিটমহলসহ ৭৭২টি দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রথম স্তর অতিক্রম করবে। কিন্তু এটাই শেষ না বাংলাদেশ দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্তর অতিক্রম করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
সভাপতির বক্তৃতায় হাসানুল হক ইনু ইন্টারনেটকে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে ডিজিটাল কমার্স আইন, সম্প্রচার আইন, ডাটা নিরাপত্তা সুরক্ষা আইন এবং ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যাংক করা উচিত।