তথ্য কমিশন, এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তথ্য কমিশনে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্পের অধীনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক ৬৪টি জেলা তথ্য অফিস ও চারটি উপজেলা তথ্য অফিসের মধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার কৌশল।
তথ্য কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
এটুআইয়ের পক্ষে এটুআই প্রজেক্টের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান এবং তথ্য কমিশনের পক্ষে তথ্য কমিশনের সচিব মো. তৌফিকুল আলম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
২০০৯ সালের ১ জুলাই তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তথ্য অধিকার আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তথ্য কমিশন এ আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপিল এবং অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত অফলাইন পদ্ধতির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতি চালু করার জন্য তথ্য কমিশন ডিনেট ও এটুআইয়ের সহযোগিতায় আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে এবং এরই মধ্যে দু’টি উপজেলায় পাইলট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমকে একটি সেবা সিস্টেমের আওতায় এনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জনগণকে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপিল, অভিযোগ দায়ের এবং অনলাইনের মাধ্যমে তার সর্বশেষ অবস্থান জানতে সহায়তা করা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের কাজে সহায়তা করার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া, আরটিআই অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেমকে ৩৩৩ কল সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করা, ৩৩৩ কল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা ও যোগাযোগ সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া নিশ্চিত করা, ৩৩৩ কল সেন্টারের এজেন্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া, বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর উদ্দেশে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ স্মারকের মেয়াদ স্বাক্ষরের দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। উভয়পক্ষের সম্মতিতে পরে এ মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে।