ইন্টারনেট এবং ভয়েস মিলিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র চালু থাকা মোট প্যাকেজের সংখ্যা এখন দেড়শ’টি। তবে প্যাকেজ সংখ্যা এ পর্যায়ে নামিয়ে আনতে অনেক কাঠ-খড় পোড়ানোসহ আড়াই বছর সময়ও খরচ করতে হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি)।
২০১৭ সালের শেষের দিকেও রবি’র ডেটা ও ভয়েস প্যাকেজের সংখ্যা ছিল ২৫৮টি।
অযাচিত প্যাকেজ নিয়ন্ত্রণ করে গ্র্রাহককে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বিটিআরসি আড়াই বছর ধরে কাজ করছে। আর তাতে করে রবি’র ১০৯টি প্যাকেজ ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবি’রটা হিসেবে নিয়েই ২০১৭ সালের শেষে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট প্যাকেজ ছিল ৩৫৯টি। আর এখন এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩৫টিতে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিটিআরসি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
গত বছরের ১২ জুন বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ জানতে গণশুনানির আয়োজন করে। গণশুনানিতে মোবাইল ফোন অপারেটদের ইন্টারনেট ও ভয়েস কলের প্যাকেজ নিয়ে একটি প্রশ্ন এসেছিল। তার উত্তরে আট মাস পরে এসে বিটিআরসি প্যাকেজের এ অংক প্রকাশ করল।
জানা গেছে, মোস্তাফা জব্বার প্রথম দফায় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হওয়ার পরে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্যাকেজের সংখ্যা ৩৫টিতে নামিয়ে আনতে কাজ করেছিলেন।
মূলত বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র এমন সংখ্যাধিক প্যাকেজ থাকার কারণেই তখন জব্বার এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সে সময় বাংলালিংকের চালু থাকা প্যাকেজ ছিল ৩৯টি, যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে ৩১টিতে নেমে আসে। ওই সময় গ্রামীণফোনের প্যাকেজ ছিল ৩৫টি, এখন সেটি ২৮টি। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অপারেটর টেলিটকের প্যাকেজ ২৭টি থেকে নেমে এসেছে ২৬টিতে।
বিটিআরসি বলছে, প্যাকেজ সংক্রান্ত বিভ্রান্তি থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতেই প্যাকেজের সংখ্যা কমানো হয়েছে। সামনের দিনে রবি’র প্যাকেজ আরো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা হবে।
গত বছরের ওই গণশুনানিতে সব মিলিয়ে ১,৩১৯টি প্রশ্ন আসে। এসব প্রশ্নের মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণগুলোই পরে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জানানোর কথা বলেছিল বিটিআরসি। যেটি জানাতে আট মাস সময় লাগল।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বিটিআরসি সাকুল্যে ২৫টি প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিয়েছে।