একসময় মানুষ ভাবত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যদি টাকা আয় করা যেতো! কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে মনে হয় তা সত্যি হয়েছে। কেননা, আজকাল ভালো-মন্দ, হাস্যরস কিংবা উদ্ভট কিছু করেও মানুষ রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। আর অবাক করা বিষয় হচ্ছে, কিছু মানুষ তাদের ঘুমিয়ে থাকার ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করে রাতারাতি ফলোয়ার অর্জন এবং এমনকি অর্থ উপার্জন করছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশকিছু টিকটক ইউজার রাতারাতি ফলোয়ার অর্জনের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। আর ঘুমের ভিডিও লাইভ-স্ট্রিম করে দর্শকদের থেকে রাতারাতি ‘ডিজিটাল কয়েন’ এর মাধ্যমে তারা অর্থ উপার্জন করে। যারমধ্যে বেশিরভাগ অ্যাকাউন্ট ছিল টিকটক ইউজারদের।
There is a trend on TikTok where people livestream themselves sleeping to gain followers.
— Brian Bosché (@BrianPBosche) February 27, 2020
This guy has 12,000 people watching him sleep right now. https://t.co/9CfKbs5NWB pic.twitter.com/F6WcJRFB3q
‘রাতারাতি আমার ভিডিওটিতে অসংখ্য লাইক, কমেন্ট আসে এবং আমার অ্যাকাউন্টে ছয় হাজার নতুন অনুসারী পাই, কিন্তু স্ট্রিমটি বন্ধ করার পরে নতুন অনুসারীদের হারিয়ে ফেলি। কিন্তু আমার অনেক নতুন অনুসারী যোগ হয়েছে এই স্ট্রিমিংয়ের ফলে’ বলছিলেন ১৮ বছর বয়সী টিকটকের কনটেন্ট ক্রিয়েকটর অস্কার রেয়েস।
মজার বিষয় হচ্ছে, লাইভ স্ট্রিমিংয়ে এই ঘুমের ভিডিও দেখার জন্য যে দর্শকদের আনাগোনা বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। কারণ লাইভে কি হচ্ছে তাতে দর্শকদের কোনো আগ্রহ নেই বরং তারা লাইভ চ্যাট সেকশনে যোগ দেয় এবং একে অপরের সঙ্গে কথা বলে।
উইয়ার্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্ট্রিমাররা তাদের ক্যামেরাসহ অন্যান্য ইকুইপমেন্টে একটি সিস্টেম করে যা থেকে মনে হবে স্ট্রিমিংয়ের গতি কমে গেছে। আর ঠিক এই সময়ে দর্শকরা তাদেরকে স্বল্প পরিমাণে টাকা উপহার দেওয়ার জন্য টুইচের ডোনেট ফাংশনটি ব্যবহার করে দুই ডলার, পাঁচ ডলার অনুদান করে।
গত বছরের জানুয়ারিতে, একজন টুইচ ব্যবহারকারীর অজান্তে তার স্ট্রিমটি বন্ধ হয়ে যায় এবং যখন পুনরায় স্ট্রিমটি চালু হয় তখন ২০০ জন নতুন অনুসারী তার অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়। সেই ক্লিপটি তখন থেকে ৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে এবং এটি এখন পর্যন্ত অন্যতম জনপ্রিয় টুইচ ভিডিও।
তবে অনলাইনে ঘুমের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভিডিও টিকটকেই প্রথম নয়। আমাজনের আওতাধীন জনপ্রিয় লাইভস্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচেও এই ট্রেন্ড চলছে। এছাড়া ইউনাও, বিগো তে ২০১৫ সালে এই স্লিপিং স্ট্রিমিং ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস