করোনা রোধে আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিশ্বের কর্ণধাররাসহ এগিয়ে এলেন ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গরা।
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তার স্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত জনসেবামূলক সংস্থা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে জরুরি তহবিল এবং সংশ্লিষ্ট সহায়তার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনার ছোবলে মানুষের সহজাত জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে সংকট মোকাবিলায় অনেকেই এগিয়ে আসছেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে। তেমনি জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব এবং ধনকুবের সিইওরা এগিয়ে এসেছেন করোনা প্রতিরোধে।
আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চীনের ধনকুবের জ্যাক মা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ১৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া তার আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড এক বিলিয়ন ইউয়ান (১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তহবিল স্থাপন এবং তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দক্ষতা ব্যবহার করে গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
মা হুয়াটেং যিনি পনি মা নামেও পরিচিত। উইচ্যাট এবং টিকটক তৈরিকারী চীনা টেক জায়ান্ট টেনসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা। চীনের যেসব অঞ্চলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউয়ান বা ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। চীনের সোশ্যাল মিডিয়া উই-চ্যাটের লোকেশন ফিচারে হাসপাতালে রোগীদের অবস্থানের খবর দিয়ে চীনে ৩০০ টিরও বেশি শহরে কাজ করছে।
নারীদের অভিজাত পণ্যসামগ্রীর ব্র্যান্ড গুচি, আলেকজান্ডার ম্যাককুইন, ইউলিসিসহ ব্র্যান্ডগুলোর প্রধান সংস্থা কেরিং গ্রুপের চেয়ারম্যান পিনাল্ট ১.০৮ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই তহবিল থেকে হুবাইয়ের রেড ক্রস ফাউন্ডেশনে অনুদান হিসাবে প্রদান করা হবে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মী ও রোগীদের যত্ন নেওয়ার জন্য ব্যয় করা হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার জর্জিও আরমানি ৮ ই মার্চ ইতালিতে করোনা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছেন।
হংকংয়ের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি লি কা-শিং বলেছেন, তিনি উহানের চিকিৎসা কর্মীদের সহায়তার জন্য ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১২ হাজার ৩৩৭ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩ হাজার ৯৭১ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত ৬২ হাজার ২৮২ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।
বিশ্বের ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার