দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত বিশেষ জরুরি পরিস্থিতিতে জনসাধারণের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জরুরি ঔষধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)এর সদস্যরা।
এর সদস্য লজিস্টিক কোম্পানীসমূহ যাতে জরুরি ঔষধ ও নিত্যপণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য ই-ক্যাবের লোগো সম্বলিত একটি স্টিকার বহন করার ব্যবস্থা করেছে ই-ক্যাব। বিভাগীয় কমিশনারের অনুমতি পত্রের কপি, মন্ত্রিপরিষদ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির অনুলিপির সাথে ই-ক্যাবের প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র সদস্য কোম্পানীগুলোকে সরবরাহ করেছে। যাতে লজিস্টিক সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা নির্বিঘ্নে তাদের সেবা দিতে পারে।
ই-ক্যাবের সভপাতি শমী কায়সার বলেন, আমরা বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি লিখে তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি যাতে আমাদের সদস্য কোম্পানীসমূহ জরুরি ঔষধ ও নিত্যপণ্য ডেলিভারির কাজ করতে পারে। এছাড়া আমরা এটুআই, একশপ, ক্যাবিনেট ডিভিশন, আইসিটি ডিভিশনের সাথে প্রণীত যৌথ নিরাপত্তা নির্দেশনা সরবরাহ করেছি। যাতে লজিস্টিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের এবং ক্রেতা সাধারণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধান করতে পারে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থাকালীন ক্ষতির মধ্যে পড়া সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য আমরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে হত দরিদ্র মানুষদের জন্যও আমরা একটা তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করি। আমরা সকলে মিলে একজোট হয়ে কাজ করলে এই সংকট আমরা মোকাবিলা করতে পারব।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা জরুরি অবস্থার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জরুরি ঔষধ সরবরাহে জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করার জন্য আমাদের সদস্য কোম্পানীসমূহকে অনুরোধ করেছি। এছাড়া তাদের কর্মীদের এবং ক্রেতাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য, মাস্ক, সার্জিকাল গ্লাভস, স্যানিটাইজার, বাড়তি পলিপ্যাক, হেডক্যাপ ও গাউনসহ পিপিই ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ই-ক্যাবের সদস্য কোম্পানীসমূহ নির্দেশনা মেনে তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে সদস্য উদ্যোক্তা ও লজিস্টিক কোম্পানীসমূহের যেকোনো সমস্যায় সহযোগিতা করতে একটি সাপোর্ট সেন্টার খোলা হয়েছে। সাপোর্ট সেন্টার নাম্বার: ০৯৬৩৮৯৯৯৬৬২। ইতোমধ্যে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও স্ট্যান্ডিং কমিটি সমূহের সভা অনলাইনে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চালডাল, দারাজ, ইভ্যালি, ফুডপান্ডা, সহজ, পাঠাও, সেবা এক্সওয়াইজেড, ডায়বেটিক স্টোর, সিন্দাবাদ, পিকাবো, মিনা ক্লিক, জাদরো ও ঘরে বাজারসহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানী তাদের জরুরি নিত্যপন্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া যেসব কোম্পানী তাদের জরুরি লজিস্টিক সেবা অব্যাহত রেখেছে তারা হলো – বিদ্যুৎ, ই-কুরিয়ার, পেপা্রফ্লাই, সন্দরবন, রেডেক্স, স্টিডফাস্ট ও সি এক্সপ্রেস|