বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ৫০ হাজার মেডিকেল গ্রেড মানসম্পন্ন পেশাদার পিপিই এবং ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিট দিচ্ছে গ্রামীণফোন।
বুধবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহক সেরা অপারেটরটি জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত হাসপাতালগুলোতে পিপিই এবং টেস্টিং কিটগুলো পৌঁছে দেবে তারা।
অপারেটরটি আশা করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী সরাসরি সামনে থেকে কাজ করবেন এবং আইসিইউতে দায়িত্বপালন করবেন তাদের সুরক্ষায় সহায়তা করবে।
তারা জানিয়েছে, তাদের দেওয়া পিপিইগুলো হবে সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, এন৯৫ মাস্ক, গ্লাভস এবং গগলস সমৃদ্ধ।
তবে ঠিক কবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে তারা এই চিকিৎসা সহায়ক উপকরণগুলো দেবেন সে বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিছুই বলা হয়নি।
গ্রামীণফোনের এই উপহার বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন এই উদ্যোগটি জাতীয় সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুপ্রাণিত করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, বিশ্বব্যাপী এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যক্তিগত এ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বিশ্বের কোনো দেশই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না।
এই মহামারি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সবাইকে এগিয়ে এসে এক সাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় এই জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। জনগণের জন্য প্রয়োজনে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই পরিস্থিতিতে জনগণের সাথে থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই গ্রামীণফোন কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে যারা সামনে থেকে কাজ করছেন তাদের সুরক্ষার জন্য জন্য (পিপিই) সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সাথে একটি ভালো সংখ্যক পিসিআর টেস্টিং কিট সংস্থান করে দেবার তাদের উদ্যোগটিও খুবই প্রশংসনীয়। এই ক্রান্তিকালে গ্রামীণফোনের এ সকল উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
পিপিই ও টেস্টিং কিট দেওয়া ছাড়াও গ্রামীণফোন জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুরু থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে।