করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবার স্বার্থে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই) নির্ভর প্রযুক্তি সেবা, ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ও স্মার্টফোন দিয়েছে হুয়াওয়ে।
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ এ অঞ্চলের অনেক দেশে নতুন এসব প্রযুক্তি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে চলমান মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি।
হুয়াওয়ের দেওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবাগুলো ব্যবহার করে বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্ভূত যোগাযোগ সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করতে পারছে আক্রান্ত দেশগুলো।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভূমিকাই মুখ্য। এক্ষেত্রে হুয়াওয়ের টেলিমেডিসিন সেবা এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেটি করোনা মোকাবিলায় চারটি প্রধান ক্ষেত্র- সরাসরি ভিডিও প্রদর্শন, দূর থেকে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ এবং সমন্বয় করায় প্রত্যক্ষ অবদান রেখে চলেছে।
করোনা মোকাবিলায় হুয়াওয়ের ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম উপহার হিসেবে গ্রহণ করছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এর ফলে যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হওয়ায় তারা দূর থেকেই দক্ষ হাতে সমন্বয় করতে পারছে। এতে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমেছে।
থাইল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতাল ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে হুয়াওয়ের টেলিমেডিসিন ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে পরামর্শ ও ট্রেনিং আদান-প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে, যেটি মহামারিটি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে দেশটির মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের সহায়তা করছে।
থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয় হুয়াওয়ের ৫জি সমাধান এবং এআই প্রযুক্তি নির্ভর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে। উচ্চ গতি সংযুক্ত লো ল্যাটেন্সির (দ্রুতি) এ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবা গ্রহণের ফলে দেশটির করোনা মোকাবিলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফিলিপাইনের বাগুইয়ো জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারে হুয়াওয়ের এআই নির্ভর সিটি স্ক্রিনিং বসানো হয়েছে, যেটি করোনা শনাক্তে চিকিৎসকদের দারুণ সহায়তা করছে।
সিঙ্গাপুরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি প্রাত্যহিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্লাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবা গ্রহণ করছে ‘সেভেন-নেটওয়ার্ক’।
হুয়াওয়ে ক্লাউড প্লাটফর্ম ও এর এআই নির্ভর রোগ নির্ণয় প্রযুক্তির মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়েই করোনা শনাক্ত করা যাচ্ছে। এতে রোগ নির্ণয়ে সময় যেমন কম লাগছে, তেমনি দ্রুততার সাথে রোগের অবস্থা সংক্রান্ত নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা করোনা চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
করোনা মোকাবিলায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে ক্লাউডের এন্টি-কোভিড-১৯ পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে মূলত পাঁচটি প্রধান প্রেক্ষাপটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- দূর থেকে অফিস করা, এআই সহায়তা প্রদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা এবং অনলাইন শিক্ষা। এসব কর্মসূচিতে যুক্ত অংশীদাররা কেবল ব্যবসা, বাজার এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই লাভবান হবেন না, বরং ৩০,০০০ মার্কিন ডলারের সমান মূল্যমানের ক্লাউড সুবিধা একেবারে বিনামূল্যে ভোগ করার সুযোগও পাবেন।
স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ক্লাউড ইআই-হেলথ দিচ্ছে, যার মধ্যে ভাইরাল জিনোম শনাক্তকরণ, সিলিকো স্ক্রিনিংয়ে এন্টিভাইরাল ওষুধ এবং এআই নির্ভর সিটি স্ক্রিনিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত।