প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে গ্লোবাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে মাইক্রোসফট ও ইউনিসেফ।
দূর থেকে পরিচালিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের এই প্ল্যাটফর্মকে 'লার্নিং পাসপোর্ট' নাম দেওয়া হয়েছে। লার্নিং পাসপোর্ট কার্যক্রমটি গত ১৮ মাস ধরে উন্নয়ন প্রক্রিয়াধীন ছিল, যা এবছরে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা বিপর্যয়ের কারণে কার্যক্রমটি ধীর হয়ে যায়।
মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতে জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের প্রক্রিয়াধীন কার্যক্রমটি শুরু করার। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীরা ডিভাইস দিয়ে অনলাইন ক্লাস করতে পারবে।
লার্নিং পাসপোর্ট প্রকল্পটি ইউনিসেফ, মাইক্রোসফট এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে গঠিত হয়েছে। যা প্রথমে সুবিধা বঞ্চিত ও শরণার্থী শিশুদের মাঝে শিক্ষাদানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এর পরিধি বিস্তৃত করে দেশে দেশে অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কসভো, টিমোর লিস্টি এবং ইউক্রেনে শিক্ষাদানের জন্য ইতোমধ্যে লার্নিং পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে পড়াশুনা যাবতীয় সরঞ্জামাদিসহ অনলাইন বই, সচিত্র বিশ্লেষণ, ভিডিও এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের বাড়তি সহায়তা দিতে বিভিন্ন কনটেন্ট রয়েছে।
মাইক্রোসফটের সভাপতি ব্র্যাড স্মিথ বলেন, 'কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী যা কোনো নির্দিষ্ট বর্ডারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তাই এটি সমাধানেও কোনো সীমানা থাকা উচিত নয়। বরং এখন সময় হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।'