বাসা থেকে অফিসের কাজ, অনলাইনে সন্তানের স্কুল, পরিজনের খোঁজখবর রাখা, তথ্য, বিনোদন, সামাজিক যোগাযোগ, অনলাইনেই বাজার-সদাই, মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে টাকা পাঠানো, কেনাকাটার পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল দেয়া, টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ এ রকম ছোট বড় অসংখ্য প্রয়োজনে তাওহিদুল ইসলাম পরিবারের মোবাইল ডাটার ব্যবহার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সারাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে থাকার কারণে তার মতো অনেক মোবাইল গ্রাহকের মোবাইল ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। চার দেয়ালে বন্দি থাকার এ সময়ে জরুরি কাজগুলো করতে এবং স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষা করতে মোবাইলই অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
পরিসংখ্যানেও একই ধরনের তথ্য মিলছে। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরের (এমটব) তথ্য মতে কোভিড-১৯ এর এ সময়ে মোবাইল ডাটার ব্যবহারের হার প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। আর সেই সাথে মোবাইলের এই নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার নিশ্চিত করতে জরুরি হয়ে পড়েছে ঘরে বসে মোবাইল রিচার্জের সুযোগ। গ্রাহকরা তাই বিকাশের মতো মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে যে কোনো সময় দেশের যে কোনো স্থান থেকে অনায়াসে নিজের এবং প্রিয়জনের মোবাইল রিচার্জের জরুরি কাজটি সারছেন।
বিকাশ সূত্রে জানা যায় এ বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে তিন কোটির বেশি গ্রাহকের মোবাইল রিচার্জ সেবা নিশ্চিত হতো বিকাশের মাধ্যমে। এপ্রিল মাসে এসে প্রায় সাড়ে চার কোটি মোবাইল গ্রাহকের রির্চাজ হয়েছে বিকাশে। ঘরে থাকার এ সময়ে বিকাশ মোবাইল রিচার্জ ব্যবহার করে মোবাইল সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার হার ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
কথা বলার জন্য মোবাইলের টক-টাইম হোক বা ইন্টারনেট প্যাকেজ হোক, বিকাশ অ্যাপ থেকেই মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল, টেলিটকের এয়ারটাইম/প্যাকেজ কেনার সুযোগ পান ব্যবহারকারীরা। কখনো কখনো থাকে ছাড়সহ বিশেষ অফার। ফলে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই নিজের বা অন্যের প্রয়োজন অনুসারে ছোট বা বড় প্যাকেজ কিনে ব্যবহার করার সুবিধা পান গ্রাহক।
মোবাইল রিচার্জসহ অন্যান্য জরুরি আর্থিক লেনদেনের জন্য বিকাশ গ্রাহকরা সারাদেশের বিকাশ এজেন্টদের কাছে ক্যাশইন করার পাশাপাশি এখন যে কোনো ভিসা অথবা মাস্টারকার্ড থেকে মুহূর্তেই নিজের অথবা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া ১২টি বেসরকারি ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং বা অ্যাপ থেকেও বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনার সেবা নিতে পারেন গ্রাহক। ফলে কোথাও না গিয়ে অনায়াসে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনার সেবা নিচ্ছেন দেশের গ্রাহক।
শহর-গ্রাম এমন কি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে মোবাইলের ব্যবহার আর্শীবাদ হয়ে কাজ করছে। আর করোনা পরিস্থিতির মতো এ বিশেষ সময়ে সেই প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি স্পষ্ট হয়েছে এবং মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবাও এ সময়ে আর্থিক লেনদেনকে সচল স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভূমিকা রাখছে।