থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্রিক ভ্রমণ দ্বীপ কোহ সামুইতে পর্যটকের হাহাকার। কোহ সামুই নামে এই দ্বীপের মানুষের আয়ের শতভাগই ছিল পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। যা এখন প্রায় শূন্যে পৌঁছেছে।
করোনাভাইরাসের আগে এই দ্বীপের আয়ের প্রায় শতভাগই আসতো পর্যটন শিল্প থেকে যা দ্বীপটির জিডিপি’র ৯৫ শতাংশ। আর বাৎসরিক আয় ছিল প্রায় ১৪ হাজার ২১৩ কোটি টাকা।
দ্বীপটিতে ৬৬০টি হোটেলের মধ্যে মাত্র ১৫০টি এখন খোলা রয়েছে। বাকিগুলোর বেশিরভাগই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা বন্ধ হওয়ার পথে।
স্থানীয় প্যাভিলিয়ান ভিলা অ্যান্ড রিসোর্ট হোটেলের উইরাট ফোনচাবাপনাফা বলেন, থাইল্যান্ডের ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দিচ্ছে না। ঋণ সুবিধা পেলে হয়তো হোটেলগুলো নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারতো। এর মানে ব্যাংকগুলো বুঝতে পারছে যে এই ব্যবসা থেকে ঋণ শোধ করা সম্ভব হবে না।
অনেক ব্যবসা বিদেশিদের কাছে বিশেষত চায়নিজ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। আবার চায়নিজ ব্যাংগুলোর কাছে ঋণে বাঁধা পড়েছে।
তিনি বলেন, ফুকেট এবং সামুইয়ের মতো স্থানের ব্যবসাগুলো আবার শুরু হতে অপেক্ষা করছে। নন পারফর্মিংয়ের মতো ঋণ সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংককের সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে স্থানীয় পর্যটন অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যদের মতে সরকারের ‘রাও থিয়াও দুয়ায় গান’ বা ‘সকলে মিলে ভ্রমণ করি’ প্রকল্পে যে ২০ মিলিয়ন বাথের যে প্রনোদনা দেয়া হয়েছে সেটা সামুইয়ের মতো দ্বীপের জন্য সাহায্যকারী নয়।
তিনি বলেন, এই ধরনের প্রণোদনা ব্যাংকক এবং অন্য জায়গাগুলো, যেখানে অনেক পর্যটক ভ্রমণ করে, যেমন চিয়াং মাই, সেসব স্থানের জন্য উপকারী হবে। যেখানো ফ্লাইটের খরচও সস্তা।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহের মতো পদক্ষেপগুলো নিয়ে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতার আশায় রয়েছে কোহ সামুই দ্বীপ।