আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে সাথে ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মসজিদ মন্দির সবখানে ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া ডিজিটাল কুরআন শরীফ আওয়ামীলীগ সরকার করে দিয়েছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই রাজশাহীতে নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সাধারণ মানুষকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না, দেশ স্বাধীন না হলে জিয়াউর রহমান মেজর জেনারেল হতো না, দেশ স্বাধীন না হলে খালেদা জিয়া ক্ষমতায়ও আসতে পারতো না।
সরকার প্রধান বলেন, এদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। যারা বাকি আছে তাদেরও পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এই বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। শুধুমাত্র রাজশাহী নগরীতেই ৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আজকে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬ টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ৩৭৫ কোটি টাকার ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলাম। এই প্রকল্পগুলো আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।
সরকার প্রধান বলেন, ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে বলে বিএনপি অনেক নেতারা বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। গতকাল ঢাকায় আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতেও এমন বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেছিলেন, ‘কালবিলম্ব না করে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকে তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিন। অন্যথায় আপনাদের ভারাক্রান্ত হয়ে চলে যেতে হবে। পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল অনেক কথাই বলে। আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। পালিয়ে যায় আপনাদের (বিএনপি) নেতারাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। অথচ তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। তাই তাদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না।