সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের দার্জিলিং ঘুরে আসার অনেক ছবিই দেখেছি। ওইসব ছবিতে দার্জিলিংয়ের অপরূপ সৌন্দের্যে বারবার বিমোহিত হয়েছি। পরে একদিন পণ করেই বসলাম, জীবনে একবার হলেও সেখানে গিয়ে কাছ থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখব। সেই ইচ্ছা পূরণ করতে গত ১১ জুন চারদিনের সফরে ভারত ভ্রমণে গিয়েছিলাম। অত্যন্ত কাছ থেকে উপভোগ করেছি দার্জিলিং শহরের সৌন্দর্য।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরভাগে দার্জিলিংয়ের একটি শহর ও পৌর করপোরেশনের অধীন এলাকা শিলিগুড়ি। শহরটি দক্ষিণ হিমালয়ের তরাই অঞ্চলে মহানন্দা নদীর পশ্চিমে অবস্থিত। মূলত অনাবিল সৌন্দর্য এবং মনোরম জলবায়ুর কারণে ভারতে ছুটি কাটানোর গন্তব্য হয়ে উঠেছে দার্জিলিং।
প্রথম রাতে গিয়ে উঠেছিলাম শিলিগুড়ির কলকাতা লর্ডেস হোটেলে। কোনোভাবে রাতটি কাটিয়ে সকালে একটি জিপ ধরে বেড়িয়ে পড়লাম ঘুরতে। আশপাশে আমার মতো হাজারও মানুষ এসেছেন এখানে। একের পর এক গাড়ি ছুটছে দার্জিলিংয়ের দিকে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত শহরটি।
জানা গেছে, দার্জিলিং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ ফুট (২০ হাজার ৪২২ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে ছোটবড় মিলে প্রায় ১৭টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- চা শিল্প, বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা ইত্যাদি। এছাড়া রেললাইনের জন্যও বিখ্যাত দার্জিলিং। এর জনপ্রিয়তা ব্রিটিশ আমল থেকেই বেড়েছে।
আরও জানা গেছে, স্থানীয়রা গরুর মাংস ও মসুর ডাল দিয়ে ভাত খেতে পচ্ছন্দ করেন। অন্যান্য জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে আছে- মম (সবজি দিয়ে তৈরি এক ধরনের পিঠা), থুপকা (নুডলস দিয়ে তৈরি একটি সুপ), চ্যাং (বিয়ার) এবং ম্যাগিনুডলস।
বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিং ভ্রমণে আসা সৈয়দ সিহাব বলেন, ‘শুধু দার্জিলিং শহরটিই দেখতে ভারতে আসা। এখানকার আবহাওয়া অনেক ভালো। কোনো ধুলাবালি নেই। পরিবেশও অনেক সুন্দর।’
আরেক বাংলাদেশি দর্শনার্থী জয় মহন্ত বলেন, ‘এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। এখানকার পাহাড় দেখতে বেশি সুন্দর। বিশেষ করে এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়টি দেখতে অসাধারণ লাগে।’