দক্ষতা-সফলতার পরিচয় দিয়ে আসছে আনসাররা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতীয় সংকটকালে ও জরুরি মুহূর্তে আপনারা দক্ষতা ও সফলতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। প্রতি বছর দেশের জাতীয় ও সামাজিক ধর্মীয় বিভিন্ন উৎসবে ব্যাটালিয়ন ও আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা রক্ষা, জঙ্গিবাদ ও মাদক প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমাদেরকে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।’

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৯তম জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনসার ভিডিপির মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। তিনি আনসার ও ভিডিপির নির্বাচিত সদস্যদের ‘আনসার সাহসিকতা’ ও ‘আনসার সেবা’ পদক প্রদান করেন।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ জনসম্পৃক্ত শৃঙ্খলাবাহিনী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার পুরুষ ও নারী সদস্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জনসম্পদ রক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অন্যদিকে ২টি পূর্ণাঙ্গ নারী ব্যাটালিয়নসহ ৪১টি ব্যাটালিয়নে প্রায় ৫৭ হাজার সদস্য পার্বত্য অঞ্চলে সমতলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০১৮৩টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলার জনগণকে উপহার দিয়েছেন। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৫ জন আনসার সদস্য জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

আনসার বাহিনীর উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সাথে যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন থেকেই এ বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নেই। ১৯৯৮ সালে আমরা প্রথম এ বাহিনীকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেছি। বিসিএস কর্মকর্তাদের পদের মানোন্নয়ন করা হয়েছে। আমরা ২০০০ সালে ব্যাটালিয়ন, আনসার সদস্যদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা শুরু করি। সেবা ও সাহসিকতা পদক দিচ্ছি। আনসার সদস্যদের জন্য ঝুঁকি ভাতার প্রবর্তন ও তা বৃদ্ধি করেছি। আপনাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার আন্তরিক এবং সহানুভূতিশীল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা উন্নত দেশ গড়তে চাই। এই অর্জনটা যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি সেজন্য সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে ব্যাপক কর্মসূচিগুলো আমরা হাতে নিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যা এদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রাম বাংলায় দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন নিয়েছি, আবার আর্থিকভাবে যাতে সচ্ছলতা আসে তার জন্য আমরা প্রতিটি মানুষের বাড়ি, জমি যেন পতিত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি প্রজেক্ট নিয়েছি। আর সেটি হল ‘একটি বাড়ি একটি খামার’। এই একটি বাড়ি একটি খামারের নাম আমি পরিবর্তন করে এখন দিয়েছি ‘আমার বাড়ি আমার খামার’।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সামরিক-বেসামরিক, সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

   

বার্তা২৪.কম-কে ড. এম. মুশতাক হোসেন

‘তাপদাহে সাধারণের জন্য উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শুধুমাত্র উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা। বলেছেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।

বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। চলমান তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্বের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মতো সেবাদানকারী সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের কথা তুলে ধরে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের তো কষ্ট হচ্ছেই। তারা বাইরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। খোলা আকাশের নীচে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাদের জন্য উপদেশের পরিবর্তে করণীয় হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ ও কমিউনিটি-যাঁরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য পানি, ছায়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আর যাঁরা বেসরকারি মালিকের অধীনে কাজ করছেন, মালিককেই তা এনশিওর করতে হবে।’

‘মালিক যদি একা না পারেন তবে কয়েকজন মালিক মিলে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ছায়া ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে, কেননা দাবদাহে তো শুধু পানিশূন্য হয় না পুষ্টিঘাটতিও তৈরি হয়। ভারী খাবার না হোক, চিড়া-বিস্কুট, স্যালাইন পানি ইত্যাদির আয়োজন কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। মনে রাখতে হবে যাদের সক্ষমতা আছে, উপদেশে তাদের কাজ হবে, তারা তো চাইলে ঘরেও থাকতে পারছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ বা যাদের কাজ না করলে ভাত জুটবে না তাদের জন্য সহায়তামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। এসব বাদ দিয়ে শুধু উপদেশ দিলে কাজ হবে না,’ বলেন ড. হোসেন।

দাবদাহে খোদ ঢাকাতেই মানুষের মৃত্যুকে ‘খুবই দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এত প্রচারণার পরেও তাদের ঘরে বসে থাকলে চলছে না। সুতরাং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তায় সমাজের সক্ষমদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ বক্সগুলোকে সহায়তা কার্যক্রমের কেন্দ্র করা যেতে পারে। ট্রাফিক পুলিশ যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে।’

রাজধানী ঢাকার দূষণ ও বায়ু নিম্নমানের প্রসঙ্গ টেনে জনস্বাস্থ্যের জন্য সৃষ্ট সংকটে করণীয় বিষয়ে ড.  মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সকালে রাস্তার পাশের মাটিতে ও গাছে পানি দিতে হবে, যাতে তারা পানি শুষে নিয়ে অক্সিজেনটা দিতে পারে। পানিটা দিতে হবে যখন রোদ থাকে না তখন, অন্য সময় দিলে তো তা বাষ্প হয়ে যাবে।’

চলমান এই তাপপ্রবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব তাতে কোন সন্দেহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো বৈজ্ঞানিক তথ্য। এবারের এই তাপপ্রবাহ পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাতের ভয়াবহতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।’  

চলমান তাপদাহের ফলে কি ধরণের রোগবালাই বাড়তে পারে, বা রোগতত্ত্ব বিভাগে সাম্প্রতিকতম মূল্যায়ন কি? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তাপপ্রবাহে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে নানা পুরনো জটিল রোগে যাঁরা আক্রান্ত তাদেরও ঝুঁকি বাড়বে। শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এসব অজানা বিষয় নয়, সবই জানা বিষয়।’

কোভিড বা অন্য সংক্রামক রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারচেয়েও বড় সমস্যা হবে শ্বাসতন্ত্র ও পানিবাহিত রোগ নিয়ে। ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়বে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।’         

জলবায়ু তহবিল ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে তো সরকারের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকার থাকতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের শিকার তো সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের ওপর বেশি পড়ে। তাদের সহায়তা করতে হবে। যেমন ধরুন তাপপ্রবাহ নিয়ে করণীয় প্রচার করাই যথেষ্ট নয়। উপকূলে লবনাক্ততা প্রকট। আমরা দেখি সহযোগিতা জায়গা মত পৌছায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাপদাহ-সহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব মোকাবেলায় সরাসরি কবলিত মানুষদের জন্য যদি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তথা কমিউনিটিকে আমরা এনগেজ করতে পারি-তাতে দ্রুত সুফল আসবে।’

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) এর ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচি থাকলেও জনস্বাস্থের জন্য তা কেন নয়?-এ নিয়েও কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হয়ে এটা করা যাবে না। আমরা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থের মত খাতে বেশি টাকা খরচ করি তবে ততো রিটার্ন আসবে। যদিও সরকার তো নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সেভাবে ওন করে না। যদি করতো তবে তারা চিন্তা করতেন তাহলে ভাবতেন শহরটাকে ক্লিন রাখা যায়, এতে ওষুধের খরচ বেঁচে যেত।’

‘উন্নয়ন অগ্রাধিকার নেওয়ার পূর্বে চিন্তা করা উচিত, কিছু অর্থ খরচ করে যদি শহরের বাতাসটা পরিষ্কার রাখা যায়, পানি ও মাটিটা নিরাপদ রাখা যায়-তবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ওষুধ কিনতে হবে না। যেহেতু আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবারসব্যবস্থা এখনও করতে পারিনি। বাংলাদেশের মানুষ আজ চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। সামিগ্রক বিবেচনায় এটিও সম্পর্কিত। সুতরাং পলিটিক্যাল কমিটমেন্টটা আসতে হবে। নাগরিকদের পকেট থেকে টাকাটা গেলেও তা জাতীয়ভাবেলঅপচয়ই হচ্ছে। যদি রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজগুলো করা যেত তবে অনেকগুন উৎপাদনশীলতা বাড়তো। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে তারা জাতীয় আয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারতো,’ বলেন ড. হোসেন।

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, এডিটর-অ্যাট্-লার্জ, বার্তা২৪.কম

;

মেহেরপুরে কমছে না তাপমাত্রা, বাড়ছে রোদের তেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাবে অতিষ্ঠ এই জনপদের জনজীবন। বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের আয় রোজগারে।

সকাল থেকে শুরু হচ্ছে রোদের তেজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ আর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। গরম সহ্য করতে না পেরে গাছের ছায়ায় বসে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। আবার গরমের ক্লান্তি নিয়ে ইজিবাইকেই ঘুমিয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু ইজিবাইক চালাতে না পারায় আয় রোজগার কমে যাচ্ছে এসব খেটে খাওয়া মানুষের।

এদিকে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরও হলেও স্বস্তি নেই কর্মজীবী মানুষের। চলার পথে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া আর শরবত পান করে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালের সূর্যের তেজই বলে দেয় গরম আর রোদের তীব্রতা কমেনি। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় দিনের সর্বোচ্চ ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

;

২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে পাঠাল বিজিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যসহ ২৮৮ জনকে সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ সকালে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।

তিনি আরও বলেন, আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।’

;

যুদ্ধ কখনোই কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ইউএনএসকাপ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

যুদ্ধের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কখনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

;