ইনজামামের ভাতিজা বলেই কী এতো সমালোচনা!
নির্বাচক হয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন না ইনজামাম উল হক! একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ তিনি। ভাতিজা ইমাম উল হকের পাকিস্তান দলে জায়গা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে চাচা'র বদন্যতায় দলে জায়গা মিলেছে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের। মাঠে দুর্দান্ত খেললেও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ চাপা পড়েনি। তারপরও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে লড়ে যাচ্ছেন খোদ ইমাম উল হক!
যোগ্যতা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের এশিয়া কাপ দলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে করেছেন তিনটি শতরান। এরপর আর সমালোচনার জায়গা আছে কি?
দুঃখজনক হলেও সত্য এরপরও এনিয়ে কথা তুলছেন পাকিস্তানের অনেকেই। এমন কী দেশের গণমাধ্যমও এনিয়ে কথা বলছে। টেনে আনছে চাচা-ভাতিজা প্রসঙ্গ। ব্যাপারটায় দারুণ ক্ষেপেছেন ইমাম উল হক। ক্ষোভে উত্তাল এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘জানি না কেন ওরা আমার সমালোচনা করছে। আমি এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। কারণ আমার পারফরম্যান্স দিয়ে আগেও তাদের মুখ বন্ধ করেছি আর ভবিষ্যতেও করে যাব।’
সত্যিই তাই, মাঠের ক্রিকেটে সবাইকে মুগ্ধ করছেন ইমাম। এরইমধ্যে ৯ ওয়ানডে খেলে করেছেন ৪ শতরান। চাচার মতোই নিয়মিত কথা বলে তার ব্যাট। দলে জায়গা পোক্ত করে নিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
এ অবস্থায় এসেও পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে পাশে পাচ্ছেন না ইমাম। তাই বিরক্ত তিনি। বলছিলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করেও মিডিয়াকে পাশে পাইনি। এমন কী বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান 'এ দলের হয়ে রান পেলেও ওরা চুপ ছিল। জাতীয় দলে জায়গা পেতেই ওরা বলতে শুরু করল আমি ইনজামামের ভাতিজা। সেঞ্চুরি করলাম, বললো এটা নাকি ভাগ্যের বদন্যতায় মিলেছে! জানি না ওদের কী বলবো আমি।’ তাহলে কী তিনি ইনজামামের ভাতিজা বলেই এতো সমালোচনা?
এ কারণে সমালোচনায় কান না দিয়ে দিয়ে খেলে যেতে চান। পারিবারিক পরিচয়ে নয়, নিজ যোগ্যতায় খেলে যেতে চান পাকিস্তান জাতীয় দলে। টার্গেট করেছেন এই এশিয়া কাপকেই। ইমাম বলেন, ‘এশিয়া কাপকে মনে রাখার মতো করতে চাই আমি। সেরাটা দিয়েই লড়তে চাই। আর উনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, এটা আমার দোষ নয়। তবে শুধুই ইমাম উল হক হতে চাই আমি।’
এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ইমামের পাকিস্তান দল মাঠে নামবে ১৬ সেপ্টেম্বর। প্রতিপক্ষ বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা হংকং।