লায়ন-ফিঞ্চকে টপকে বর্ষসেরা কামিন্স
বেশ জমে উঠেছিল সেরার লড়াই। বছর জুড়ে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ই দুর্দান্ত ক্রিকেটের পসরা সাজিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেরাদের সেরা প্যাট কামিন্স। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পথ ধরে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হলেন এই পেস বোলার। ‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল’ পেলেন তিনি। সেই ২০১৪ সালের পর আবারো বর্ষসেরা হলেন কোনো ফাস্ট বোলার। মিচেল জনসনের পর এবার কামিন্স।
মেলবোর্নের ক্রাউন ক্যাসিনোতে সোমবার ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে ভোটযুদ্ধ বাজিমাত কামিন্সের। ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও সংবাদকর্মীদের ভোটে তিনিই নাম্বার ওয়ান। তবে লড়াইটা একপেশে ছিল না। ১৫৬ ভোট পেয়েছেন কামিন্স। মাত্র ৬ ভোট কম পেয়ে এরপরই আছেন নাথান লায়ন। ১৪৬ ভোটে তৃতীয় অ্যারন ফিঞ্চ। উসমান খাজা ও মার্কাস স্টয়নিস দুজনই পেয়েছেন ১০২ ভোট। ৮৫ ভোট গেল অ্যান্ড্রু টাইয়ের বাক্সে।
স্পট ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ স্টিভেন স্মিথের পর সবচেয়ে কম বয়সে অজিদের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন কামিন্স। ২০১৫ সালে ২৫ বছর ২৩৯ দিন বয়সে সেরা হয়েছিলেন স্মিথ। ২৫ বছর ২৭৯ দিন বয়সে এই স্বীকৃতি মিলল কামিন্সের।
বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন নায়ান লায়ন (২৫ ভোট)। ৯ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত তিনি ১০ টেস্ট খেলে নেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ৪৯ উইকেট। কামিন্স হয়েছেন দ্বিতীয় (২২)। অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হলেন মার্কাস স্টয়নিস (৩০)।
বর্ষসেরা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গত এক বছরে ১৮ ইনিংসে করেন ৫০৬ রান উইকেট নেন ৯টি। ৩০ ভোট পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার সেরা উঠতি ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার’ পুরস্কার পেলেন ব্যাটসম্যান উইল পুকোভস্কি। ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষসেরা ম্যাথু ওয়েড।
অস্ট্রেলিয়া নারী বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘বেলিন্দা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন অ্যালিসা হিলি। এই কিপার-ব্যাটার বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটারও হয়েছেন।