সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অটোচালক সুমনের প্রচেষ্টা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অটোচালক সুমনের প্রচেষ্টা। ছবি: বার্তা২৪.কম

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অটোচালক সুমনের প্রচেষ্টা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ড্রাইভার হোক অভিজ্ঞ, পথচারী হোক সচেতন, সকলের সমন্বয়ে সড়ক দুর্ঘটনার অবসান’ এই স্লোগানের মাধ্যমে চালক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন অটোশ্রমিক আব্দুল্লাহ-আল-সুমন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন মহাসড়কে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ সচেতনতা মূলক তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিলি করেন তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অটোচালক সুমনের এই প্রচারণাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। অন্যদিকে সচেতন মহলও বলছেন, সকলেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইন জানুন এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রংপুরের ব্যস্ততম সড়ক জাহাজ কোম্পানির মোড় এলাকায় লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায় সুমনকে। পথচারীদের মাঝে বিলি করা ওই লিফলেটে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ৫০টির বেশি পরামর্শমূলক মতামত তুলে ধরা হয়েছে।

এ ধরনের প্রচারণার ব্যাপারে অটোচালক আব্দুল্লাহ-আল-সুমন জানান, এক বছর আগে সে দুটি সড়ক দুর্ঘটনা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এর মধ্যে একটি দুর্ঘটনায় রাস্তা পারাপারের সময় এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আর অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল চালকের ঘুমানোর কারণে। ওই দুর্ঘটনায় তার পরিচিত একজন পঙ্গু হয়ে যায়। এ দুটি ঘটনা তাকে মর্মাহত করে। সচেতনতার অভাব ও ট্রাফিক আইন না মেনে চলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন সুমন। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিজের সাধ্যমতো সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের গোডাউনেরহাট এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ-আল-সুমন। পাঁচ ভাই এক বোনের পরিবারে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি তিনি। অষ্টম শ্রেণিতেই থামতে হয় তাকে। অটো চালানোর ফাঁকে ফাঁকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন এক বছর ধরে।

সুমন বলেন, ‘সমাজের সবাই সচেতন হলে, অনেক দুর্ঘটনাই রোধ করা সম্ভব। আমার লিফলেটে ৫০টির বেশি মতামত রয়েছে। এগুলো মানলে সড়ক দুর্ঘটনা জিরোতে মেনে আসবে।’

সুমন তার এই প্রচারণা পত্রে মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টার সঙ্গে কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। দাবিগুলো হল: সড়ক জুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভাঙা সড়ক দ্রুত মেরামত করা। সড়কের পাশে ও মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং স্প্রিড ব্রেকার থাকলে সংকেতের ব্যবস্থা করা।  সড়ক দুর্ঘটনা রোধে টিভিতে, পত্রিকায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটে বাজারে প্রচারণা এবং ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

সচেতনতামূলক লিফলেটে ড্রাইভারদের উদ্দেশে বলা হয়েছে- গাড়ি সড়কে নামানোর আগে ব্রেক, হর্ন, সাইডলাইট, হেড লাইট, লুকিং গ্লাস দেখে নেয়া। চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি না চালানো। বিভিন্ন মোড় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি ধীরে চালানো। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা। মেনে চলতে হবে ট্রাফিক আইন। ওভারটেকিং না করা। চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে কথা না বলা।

ছাত্রছাত্রী ও পথচারীদের উদ্দেশে বলা হয়- গল্প করতে করতে সড়ক পার না হওয়া ও সড়কে ইটের টুকরাসহ বিপদজনক কিছু পড়ে থাকলে তা ফেলে দেয়া। এয়ারফোন কানে দিয়ে সড়কে না হাঁটা। ছোট ছেলে মেয়ে, প্রতিবন্ধী এবং অন্ধ ব্যক্তিকে সড়ক পারাপারে সহযোগিতা করা। ওভারব্রিজ থাকলে তা ব্যবহার করা।

যাত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়- গাড়িতে ওঠার পর কাপড় দেখে নিতে হবে যাতে চাকায় না আটকায়। অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষকে বসার সুযোগ করে দেয়া। চলন্ত অবস্থায় ড্রাইভারের সঙ্গে কথা না বলা। ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে সতর্ক করা। গাড়িতে ধুমপান না করা।

এদিকে অটোচালক সুমনের এমন প্রচারণাকে স্বাগত জানিয়ে তরুণ সংগঠক তানভীর হোসেন আশরাফী বলেন, একজন অটো চালক সামান্য আয় করে। সারাদিন যাত্রী ওঠা-নামা করাতে তাকে কষ্ট করতে হয়। তারপরও যে এই প্রচারণা চালাচ্ছেন, এর জন্য তাকে অভিনন্দন।

অন্যদিকে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ জানান, মানুষ সচেতন হচ্ছে, এটি তারই অংশ। সুমনের মতো সবাই সচেতন হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।

   

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;

চট্টগ্রামে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মোছাম্মৎ সাফা নামের ছয় মাস বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের ধারণা, অতি গরমে শিশুটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি নাম মো. নিজাম উদ্দীনের মেয়ে।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেয়ার পর তার শরীর ঠাণ্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার সাবরিনা আকতার বলেন, হিট স্ট্রোকে মারা গেছে কিনা সেটা পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত করলে তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা যাবে আসলে কি হয়েছিল শিশুটির। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে সে মারা যায়।

প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি অতি জরুরি অবস্থা। যাকে বলা হয় মেডিকেল ইমার্জেন্সি।

 

;