৪৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ, হার দিয়ে শুরু বিশ্বকাপ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হল না। আইসিসি নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শুরুতেই হোঁচট খেলো বাংলাদেশের মেয়েরা। উদ্বোধনী ম্যাচে শনিবার টাইগ্রেসদের অনায়াসে হারাল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০ ওভারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের মেয়েরা। দুঃখজনক হলেও সত্য দলের কোন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের স্কোরের দেখা পাননি। যার পথ ধরে দল অলআউট মাত্র ৪৬ রানে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয় আসরে এবারই প্রথম পঞ্চাশের নিচে অলআউট কোন দল।

গায়ানায় শনিবার ভোরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের গ্রুপ এ-এর ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজের মেয়েরা ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে করে ১০৬ রান। জবাব দিতে নেমে টাইগ্রেসরা শুধু উইকেটে আসা-যাওয়ার খেলায় মেতেছেন। আর দল হেরেছে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে।

ম্যাচটা হারলেও টস ভাগ্য ঠিকই সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। এমন কী বল হাতেও সফল ছিলেন সালমা খাতুনরা। তারই পথ ধরে স্বাগতিক দলকে মাত্র ১০৬ রানে আটকে রাখতে পেরেছিল দল। উইন্ডিজের কার্সিয়া নাইট করেন ৩২ রান।

জাহানারা আলম ৩ উইকেট নেন মাত্র ২৩ রানে। রুমানা আহমেদ ১৬ রানে তুলেছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমা খাতুন ও খাদিজাতুল কুবরা।

কিন্তু জবাব দিতে নেমে উইন্ডিজের বোলারদের সামনে একেবারে অসহায় ছিল মেয়েরা। কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারলেন না। দলীয় সর্বোচ্চ ৮ রান করেন ফারজানা আলম। ১৪.৪ ওভারে অলআউট টাইগ্রেসরা। ৫ রানে ৫ উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়েন্ড্রা ডটিন। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১০৬/৮ (ম্যাথিউস ৬, ডটিন ৮, টেইলর ২৯, ক্যাম্পবেল ১, ম্যাকলিন ১১, কুপার ৮, নাইট ৩২, আনিসা ৪; জাহানারা ৩/২৩, সালমা ১/২১, কুবরা ১/১৯, রুমানা ২/১৬)।

বাংলাদেশ: ১৪.৪ ওভারে ৪৬/১০ (শামিমা ৫, আয়েশা ৬, জাহানারা ৩, ফারজানা ৮, নিগার ৩, রুমানা ২, সানজিদা ৪, লতা ০, ফাহিমা ৩*, সালমা ৫, কুবরা ১; সেলমান ২/১২, টেইলর ১/১০, ডটিন ৫/৫, ফ্লেচার ১/১২)।

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬০ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: ডিয়েন্ড্রা ডটিন

   

নারাইন-ভেঙ্কেটেশ নৈপুণ্যে বেঙ্গালুরুর মাঠে দাপুটে জয় কলকাতার 



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী পারফর্ম করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। সেই ব্যাটিং ছন্দ দ্বিতীয় ম্যাচেও ধরে রাখল বাংলার দল। আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ের পর এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে কোহলি-ডু প্লেসিদের পাত্তাই দিল না শ্রেয়াস আইয়ারের দল। বেঙ্গালুরুর দেওয়া ১৮৩ রানের টার্গেট স্রেফ ১৬ ওভার ৫ বলেই তুলে ফেলে তারা। জয়টা আসে ৭ উইকেটে। টানা দুই ম্যাচেই দুটি জয় পেল কলকাতা।

আগের ম্যাচে রাসেলের হাত ধরে শুরু হয়েছিল ব্যাটিং ঝড়। এবারও কৃতিত্ব আরেক ক্যারিবীয় তারকা, সুনীল নারাইনের। এদিন টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ওপেনার নারাইন ও সল্ট। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই আসে ৮৫ রান। পরে নারাইন ২২ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেন ভাঙে ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি। পরের ওভারেই ফেরেন সল্ট। দুই ওপেনার কাজটা অর্ধেক সহজ করে দেওয়ার পর দুই আইয়ারের ৭৬ রানের জুটিতেই গড়ে যায় জয়ের ভিত। দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৫০ রআন করেন ভেঙ্কেটেশ। বাকি পথ রিংকু সিংকে নিয়ে অনায়াসেই পাড়ি দেন অধিনায়ক শ্রেয়াস। ১৬ ওভার ৫ বলেই জয় তোলে কলকাতা। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্রেয়াস। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে শেষ বলে ধাক্কা খায় বেঙ্গালুরু। হারশিত রানার বলে দ্রুতই ফেরেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। অবশ্য সেই চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন কোহলি ও ক্যামেরন গ্রিন। ৩৩ রান গ্রিন ও ২৮ রান ম্যাক্সওয়েল ফেরার পর দলকে একাই টেনে নিয়ে যান কোহলি। এদিও বেশ ছন্দে ছিল এই তারকার ব্যাট। শেষ পর্যন্ত ছিলেন টিকে। করেছেন ৫৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩ রান। এতেই ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছায় দলটি। 

ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালানোর আগে বল হাতেও ১টি উইকেট নেন নারাইন। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ ১৮২/৬ (২০ ওভার) (কোহলি ৮৩*, গ্রিন ৩৩; রাসেল ২/২৯, রানা ২/৩৯)

কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ ১৮৬/৩ (১৬.৫ ওভার) (ভেঙ্কেটেশ ৫০, নারাইন ৪৭; বিজয়কুমার ১/২৩)

;

বাইরের চাপে কাহিল লিটন, বলছেন পোথাস



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ৩২৮ রানে। তবে এত বড় হারের পরও টেস্ট শেষে সবচেয়ে বড় আলোচনার কেন্দ্র ছিল লিটন দাসের আউট! দল যখন ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে, তখন মাঠে নেমেই বল তুলে মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন লিটন। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুর্দশার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে লিটনের সেই আউট।

বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে দল থেকে ব্রাত্য হয়েছিলেন লিটন। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পর তার চাঁছাছোলা সমালোচনা করে টেস্ট দল থেকেও তার বাদ পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েননি লিটন। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পাচ্ছেন নিজেকে প্রমাণের। সে ম্যাচকে সামনে রেখে লিটন ভালো অবস্থায় আছেন বলে জানালেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস, ‘লিটন ভালো অবস্থায় আছে। ঝামেলাটা হচ্ছে লিটনের ওপর চাপটা বাইরে থেকে আসছে। আমার মনে হয় লিটনকে শুধু ওর মতো থাকতে দেওয়া উচিত। এরপর ও তার সেরাটা দেখিয়ে দেবে।’

তবে লিটনের কাছ থেকে ভালো ফল পেতে হলে বাইরের সব আলোচনা, সমালোচনার তোড় বন্ধ করতে হবে, বললেন পোথাস। তার ভাষ্য, ‘যদি আমরা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওর পেছনে লেগে থাকি, তাহলে হবে না। আমরা ভুলে যাই এই ছেলেরা ক্রিকেট খেলে বা তাদের টিভিতে দেখায় বলে; যে ওরাও মানুষ। এজন্য যদি আমরা তাদের মানুষের মতোই দেখি, আর তাকে তার সেরাটা দেওয়ার সুযোগ দেই; আমি নিশ্চিত সে আপনাদের রেজাল্ট দেখিয়ে দেবে।’

আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামছে দু’দল। ম্যাচ শুরু সকাল ১০ টায়। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডেতে হারলেও শেষটাই সিরিজ জিতেই বাংলাদেশ সফরের ইতি টানতে চায় লঙ্কানরা। এখন অপেক্ষা দুই দলের মাঠের লড়াই দেখার।

;

জার্মানিতেই থাকছেন আলোনসো



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ার লেভারকুজেনকে নিয়ে বুন্দেসলিগায় রীতিমত ম্যাজিক দেখাচ্ছেন জাবি আলোনসো। চলতি মৌসুমে এখনো অপরাজিত তারা। বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের আধিপত্য গুঁড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে আলোনসোর লেভারকুজেন।

জার্মানিতে আলোনসোর দলের এমন দাপট দেখে তাকে পেতে লাইন ধরেছে ইউরোপের বাঘা বাঘা ক্লাবগুলো। তার সাবেক দুই ক্লাব লিভারপুল এবং বায়ার্ন মিউনিখ তাকে পেতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। চলতি মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ওদিকে থমাস তুখেলের অধীনে দলের পারফরম্যান্সে খুশি নন বায়ার্ন কর্তারা।

চলতি মৌসুম শেষ তাই এই দুটি ক্লাবের একটি আলোনসোর ভবিষ্যৎ গন্তব্য হতে পারে, এমনটাই ধারণা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ইতালিয়ান ফুটবল সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কিছুই হছে না।

আগামী মৌসুমে লেভারকুজেনেই থাকছেন আলোনসো। ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তার। ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে তার চুক্তিতে থাকা রিলিজ ক্লজ সক্রিয় হবে। কোনো ক্লাব চাইলে সে রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে তখন তাকে দলে টানতে পারবে।

আলোনসো আগামী গ্রীষ্মে লেভারকুজেনের খেলোয়াড় দলবদলের কাজ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন রোমানো।

২০২৫ সালে রিলিজ ক্লজ সক্রিয় হলেই যে লিভারপুল বা বায়ার্নের জন্য আলোনসোকে পাওয়ার পথ সুগম হয়ে যাবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ রোমানোর মতে, আলোনসোর আরেক সাবেক ক্লাব ইউরোপিয়ান জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদও কার্লো আনচেলত্তির উত্তরসূরি হিসেবে তাকে বিবেচনা করছে।

;

নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে চড়াবেন অ্যান্ডারসন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের হয়ে দীর্ঘ সময় খেলেছেন কোরি অ্যান্ডারসন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন। তবে এরপর থেকে আর কিউইদের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার, এমনকি দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটেও আর দেখা যায়নি তাকে।

দীর্ঘ বিরতি শেষে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন অ্যান্ডারসন। তবে নিউজিল্যান্ড নয়, এবার গায়ে চড়াবেন যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি। জাতীয়তা পাল্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কানাডার বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। সে সিরিজের দলে অ্যান্ডারসনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৩ টেস্ট, ৪৯ ওয়ানডে এবং ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন অ্যান্ডারসন। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে অ্যান্ডারসন আজীবন ভাস্বর থাকবেন কুইন্সটাউনে খেলা তার ‘সেই’ অবিশ্বাস্য ইনিংসের জন্য। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে শহীদ আফ্রিদির দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন।

;