সিলেটের চার অর্থনীতিবিদ হতে চান নৌকার মাঝি



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে নিজ নিজ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চান চার অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন-বর্তমান সংসদ সদস্য, অর্থ ও পকিল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবীর, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ড. আবদুল মোমেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন।

জানা গেছে,  শনিবার (১০ নভেম্বর) সিলেট-৫ আসন (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) থেকে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন আহমদ আল কবীর।  ৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন নিয়েছেন এমএ মান্নান ও  সিলেট-১ আসনের নিয়েছেন  আবদুল মোমেন এবং আগামীকাল রোববার দলের মনোনয়ন কিনবেন হবিগঞ্জ-৪ ফরাস উদ্দিন।

এমএ মান্নান

সরকারের সাবেক সচিব মান্নান আমলা হিসেবে ছিলেন খ্যাতিমান। তিনি ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থ এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনী এলাকা জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে আবারও তিনি এমপি হতে চান। তার আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডনও মনোনয়ন নিয়েছেন। তবে তাকে শক্তিশালী প্রার্থী বিবেচনা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পরবর্তী অর্থমন্ত্রী মান্নান হতে পারেন বলে মনে করছেন।

মান্নান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৪ সালে তদানীন্তন সিএসপি ক্যাডারে যোগদান করেন এবং জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুরোতে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইকোনমিক মিনিস্টার হিসেবে জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০৩ সালে সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এম এ মান্নান ২০০৫ সালে  আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি পাবলিক অ্যাকাউন্টস সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১০ এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541858757119.jpg

আহমদ আল কবীর

ড. আহমদ আল কবীর একাধারে অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, মিডিয়া ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্যও তিনি। ভূমিকা রেখেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ইউএসএআইডি, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএনএফপিএসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।

মনোনয়নপত্র সংহের পর তিনি জানান, জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনৈতিক কাজ করছেন। স্থানীয়ভাবে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশে নিয়মিত উপস্থিত থেকেছেন। স্বাস্থ্যখাতে এককভাবে সবচেয়ে বড় এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। যেটা শুরু হয়েছিল তার নির্বাচনী আসন জকিগঞ্জ থেকে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। তারা তাকে সমর্থনও দিয়েছেন। জানা গেছে, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বিষয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭টি দেশে বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি বাংলাদেশে শহর এলাকায় ‘সূর্যের হাসি’ কার্যক্রমের প্রধান হিসাবে ইউএসএআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

২০০২ সাল থেকে নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল’র প্রধান হিসাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এশিয়া অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া ২০০৯ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541858785960.jpg

আবদুল মোমেন

কূটনীতিতে প্রৌঢ় ও অর্থনীতিবীদ ড. এ কে আবদুল মোমেন গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন। অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই হওয়ায় এখন সিলেট-১ আসনে ভোটারদের কাছে চেনা মুখ তিনি। ব্যক্তিগত ইমেজ আর সুদক্ষ কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের কল্যাণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। রাজনীতির জঠিল সমীকরণে নয়, আধুনিক উন্নয়ন চিন্তাভাবনায় নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশার সঙ্গে তার ভাবনার মেলবন্ধন ঘটাতে চান জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন। দীর্ঘদিন সরকারের কোনো পদে না থাকলেও উন্নয়ন ভাবনা এবং ব্যাংকিং সেক্টরসহ সেবাখাতের সহজ প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি ভাবেন।

জানা গেছে, আবদুল মোমেন ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি (রাষ্ট্রদূত) হিসেবে যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েছিলেন। এরপর পড়ালেখা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রেরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। প্রতিনিধিত্ব করেছেন বহু আন্তর্জাতিক সংস্থায়। সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং এমসি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। এরপর যোগ দেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে। শিক্ষকতা শুরু করেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর আমেরিকায় অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে একটি যৌথ প্রকল্পে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/10/1541858816450.jpg

ড. ফরাস উদ্দিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭ম গভর্নর ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ছিলেন ড. ফরাস উদ্দিন। (হবিগঞ্জ-৪) আসন থেকে নির্বচন করতে রোববার সকালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনবেন তিনি। তিনি ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বেসরকারি ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রেসিডেন্ট। শিক্ষাগত, প্রশাসনিক, ব্যাংকিং ও অর্থ ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজ নৈপুণ্যের অপূর্ব স্মারক তার বর্ণাঢ্য জীবন।

ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও ঢাকা সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএসহ বিভিন্ন জায়গায় তার প্রায় ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৭৩-৭৫ সময়ে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে কাজ করেছেন।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;