প্রতিদিন কফি পানে কী ঘটে শরীরে?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কফি পান ব্যতীত দিনের শুরু হয় না অনেকের। ধূমায়িত এক কাপ কফি পানের ফলে শরীরে কী ঘটছে সেটা কি জানা আছে? কফিতে থাকা স্ট্রং ক্যাফেইন শরীরকে চাঙ্গা ও ফুরফুরে রাখার পাশাপাশি আরো যে সকল প্রভাব তৈরি করে, তার কিছুটা তুলে ধরা হলো।

সুস্থ রাখে শরীর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কম্যুনিটি কফি কোম্পানির ডায়েটেশিয়ান কনসালটেন্ট বেথ উইদারস্পুন জানান, পরিমিত মাত্রায় প্রতিদিন কফি পানের ফলে টাইপ-২ ডায়বেটিস, পারকিনসন ডিজিজ, ডিমেনশিয়া, লিভার সিরোসিস ও বিশেষ কয়েক ধরণের ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়। বিজ্ঞদের মতে কফি হলো ‘মিরাকেল ড্রাগ’, যা আশ্চর্যজনকভাবেই রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। সিনিয়র হেলথ অ্যাডভাইজর ও ডিমেনশিয়া প্রিভেনশন স্পেশালিস্ট জ্যানেট রিচ পিটম্যান এর মতে, ব্ল্যাক কফি সবচেয়ে বেশি উপকারি। ব্ল্যাক কফি থেকে ক্যাফেইনের মাত্রা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পাওয়া যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/08/1544258262652.jpeg

মন ভালো রাখে

কফিতে থাকা ক্যাফেইনের সঙ্গে মস্তিষ্কের সরাসরি সংযোগ আছে, যা মস্তিষ্কের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ডায়েটেশিয়ান বেথ জানান, মস্তিষ্কের উপর কফি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। যার ফলে অ্যালার্টনেস, মনোযোগ ও মনমেজাজে পরিবর্তন আসে। ২০১৩ সালের একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে, প্রতিদিন অন্তত তিন কাপ কফি পানে আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাস পায় ৪৫ শতাংশ। একই সঙ্গে কমে মানসিক বিষণ্ণতা, হতাশা ও দুশ্চিন্তাও।

কমায় ভুলে যাওয়ার সমস্যা

ক্যাফেইন অ্যালার্টনেস, অ্যাটেনশন, কন্সেন্ট্রেশন ও মুড ভালো রাখার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি ভালো রাখার ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করে। সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয় ন্যাচার নিউরোসায়েন্স নামক জার্নালে। যেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইন মানুষের দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিগুলোকে একত্রে সংরক্ষণে কাজ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/08/1544258281838.jpeg

অতিরিক্ত পানে দেখা দিতে পারে সমস্যা

ভালো দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিদিন কফি পানের নেতিবাচক দিকগুলোর প্রতিও নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত কফি পানের ফলের অনেকেই মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, প্যানিক অ্যাটাক, ঘুমের সমস্যা, ইনসমনিয়ার মতো সমস্যাতেও আক্রান্ত হন। ক্যাফেইনের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির ফলে এমনটা হয়ে থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ক্যাফেইন গ্রহণের ১২-২৪ ঘন্টার ভেতর পুনরায় ক্যাফেইন গ্রহণ করা না হলে শরীর ক্যাফেইন গ্রহণের জন্য নানান ধরণের লক্ষণ প্রকাশ করা শুরু করে। যাকে বলা হয়ে থাকে ‘ক্যাফেইন উইথড্রওইয়াল’। এই সমস্যাটি ২৪-৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

আরো পড়ুন: মস্তিষ্কের সুস্থতায় প্রয়োজন ভিটামিন-বি

   

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;

গর্ভধারণে জটিলতার কারণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবনের বিভিন্ন ধাপে নারীদের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই, কিশোরের তুলনায় কিশোরীর শরীর বেশি পরিবর্তিত হয়। নারীদের পরিবর্তন গুলো তুলনামূলকভাবে জটিলও বটে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে যখন নারীর শরীরে মধ্যেই নতুন এক জীবনের সূচনা হতে শুরু করে। প্রজননের মাধ্যমে একটি শিশুর জন্ম খুবই সাধারণ একটি ঘটনা হলেও যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়ায় এটি ঘটে। ব্যক্তিভেদে অনেক নারীর গর্ভকালে নানান জটিলতা দেখা যায়। 

ভারতীয় চিকিৎসক মঞ্জু গুপ্তা একজন প্রসূতি এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি এক প্রতিবেদনে নারীদের প্রজনন সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিলতার তথ্য দেন। তিনি বলেন, নারীদের গর্ভকালে কিছু সাধারণ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এইসব সমস্যাগুলো সাধারণত নারীদের হরমোনের ভারসাম্যতা, বিভিন্ন সংক্রমণ, কাঠামোর অস্বাভাবিকতা, জীবন ধারার ধরণ এমনকি জেনেটিক কারণেও হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক যেবসব কারণে গর্ভধারণে নারীরা জটিলতায় পড়েন তার বিস্তারিত-

হরমোন ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ব্যাঘাতের ফলে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস), অনিয়মিত পিরিয়ড, ডিম্বাশয়ের সিস্টের মতো সমস্যা দেখা যায়। এসব কারণে গর্ভকালের উর্বরতাকে প্রভাবিত হতে পারে। এছাড়াও, অনিয়মিত মাসিক চক্র এবং অস্বাভাবিক হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক নয়। শরীরের অভ্যন্তরে গোপনে সমস্যার কারণে এসব হয়।

সংক্রমণ: যৌন সংক্রমণ সরাসরি শিশু গর্ভধারণ সমস্যার সাথে জড়িত। ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়ার মতো রোগের সময় মতো চিকিৎসা করা প্রয়োজন। না হলে দীর্ঘস্থায়ী পেলভিক পীড়া, দাগ পড়া এবং বন্ধ্যাত্বও হতে পারে। এমনকি মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই)ও প্রজনন স্বাস্থ্যক প্রভাবিত করতে পারে।

কাঠামো: এন্ডোমেট্রিওসিসের এমন এক শারীরিক জটিলতা যেখানে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। এটি একপ্রকার কাঠামোগত অস্বাভাবিকতা। এরকম আরও সমস্যা রয়েছে যা বংশবৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। যেমন- জরায়ু ফাইব্রয়েড, জরায়ু অঙ্গের অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে বৃদ্ধি, নিতম্বে ব্যথা, ভারী মাসিক রক্তপাত এবং উর্বরতার অভাব।

জীবনধারা: ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, অপুষ্টিজনিত এবং স্লো পয়জন ধরনের খাদ্যগ্রহণ, মানসিক চাপ এবং দূষিত পরিবেশের বিষের সংস্পর্শও প্রজনন স্বাস্থ্যকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এইসব কারণে মাসিক চক্র, হরমোনের মাত্রা এবং সামগ্রিক উর্বরতা ব্যাহত করতে পারে।

জিনগত সমস্যা: কিছু নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় জেনেটিক প্রভাব থাকতে পারে। যেমন- এন্ডোমেট্রিওসিস বা পিসিওএসের মতো সমস্যা পারিবারিক উৎস থেকে আসে। এসব কারণে প্রকট জিন নির্দিষ্ট প্রজনন ব্যাধিকে তরান্বিত করতে পারে।

তথ্যসুত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস

;

রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন, যেসব ব্যাপার মাথায় রেখে কিনবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন যত বাড়ছে গরম আরও মাথা চাড়া দিচ্ছে৷ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই কিংবা তারও বেশি৷ দুপুরবেলা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার পালা৷ অতি প্রয়োজন ছাড়া দুপুরবেলা ঘরের বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে৷ তবে যাদের একান্তই বাইরে যেতে হয় তাদের রোদ থেকে নিজেদের যথাসম্ভব রক্ষা করতে হবে৷

দিনেরবেলা বাইরে যাওয়ার সময় সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন৷ গরমে ত্বকে ময়েশ্চার ধরে রাখতে তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷

রোদে  সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে ত্বক৷  কারণ সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসার দরুন ত্বকে অস্বস্তি হয়৷ রোদে পোড়া, ট্যানের মতো নানারকম সমস্যা দেখা দেয়৷ সূর্যের আলোতে থাকা অতিবেগুনী রশ্মি সরাসরি ত্বকে পড়লে নানারকম সমস্যা হয়কি৷ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও থাকে৷  তাই যথাসম্ভব ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে৷ আরামদায়ক ঢিলাঢিলা পোশাক পরা এবং ছাতা নিয়ে বাইরে যাওয়া উচিত৷ তবে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার সর্বোচ্চ কার্যকর৷

ত্বকের সবচেয়ে বেশি উপকার যেন হয়, তা নিশ্চিত করতে উন্নত মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন৷ সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে- 

১. সানস্ক্রিন অবশ্যই ইউভি-এ এবং ইউভি-বি প্রতিরোধী হতে হবে৷ অতিবেগুনী রশ্মিতেও বিভিন্ন ধরন রয়েছে৷ যেমন:  ইউভি-এ, ইউভি-বি, ইউভি-সি ইত্যাদি৷ ইউভি-বি রশ্মি ত্বকের বেশি ক্ষতি করে৷  ত্বকের উপরের অংশে সানবার্ন মূলত এই রশ্মির কারণেই হয়৷ এছাড়া,  ইউভি-এ ও ত্বকের কোষের অনেক ক্ষতি করে৷  যদিও আগে ধারণা করা হতো, ইউভি এ রশ্মি সামান্যই ক্ষতি করে; যা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷  ইউভি-সি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়৷ কারণ তা ত্বক অবধি তা পৌঁছাতে পারেনা৷ ওজোনস্তর ইউভিসি রশ্মিকে শোষন করে নেয়৷ 

২. সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে জিনিস টা মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো এসপিএফ৷ মূলত সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর কে সংক্ষেপে এসপিএফ বলে, যা সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়। সাধারণ ত্বকের জন্য ২০ থেকে ২৫ এসপিএফ সমৃদ্ধ সানক্রিনই যথেষ্ট৷ তবে যাদের ত্বক সেনসিটিভ, এলার্জি, র‍্যাশ বা লালচে হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই ৩০ থেকে ৪০ এসপিএফ সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে৷

৩. অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বক আর্দ্রতা হারায়৷ তাই ত্বক আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে৷  অবশ্য সানস্ক্রিন ময়েশ্চার লক হয়৷ সেইসব সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও চলে৷

৪. ত্বকের ধরন বুঝে সানস্ক্রিন কেনা উচিত৷ যাদের ত্বক শুষ্ক তারা প্রথমেই  সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন৷  এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার এপ্লাই করুন৷ যাদের ত্বক স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত তারা অবশ্যই ওয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন এবং লোশন ব্যবহার করবেন৷ অথবা জেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, এতে একনি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে৷

৫. অনেকেই সানব্লক ক্রিম এবং সানস্ক্রিনের পার্থক্য বোঝেন না৷ সানব্লক ক্রিম ত্বক এবং রোদের মধ্যে একটা দেয়ালের মতো কাজ করে৷ তাই, সানব্লক ব্যবহার করলে একড়া সাদাটে ভাব দেখা যায়৷ অপরদিকে সানস্ক্রিন ত্বকের গভীরে সূর্য রশ্মিকে প্রবেশ করতে দেয়না৷  কারণ ত্বকে রোদ পড়লে তারা ইউভি রশ্মি শোষণ করে নেয়৷ তাই সানব্লক ক্রিমের চেয়ে সানস্ক্রিন বেশি কার্যকর।

;