চীনের ৪শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেননি ডিএসইর শতাধিক সদস্য



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: কথা রাখেননি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১০৭ সদস্য। গত বছর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছে বিক্রি করা ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ারের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন। আর তার জন্য সরকারকে দিতে হবে কর ছাড়।

সে অনুযায়ী সরকার ১০ শতাংশ কর ছাড় দিলেও কথা রাখেননি তারা। পুঁজিবাজারের ক্রান্তিকালে তারা এই টাকা অন্যখাতে বিনিয়োগ করছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এখন নতুন ফান্ডের বড় সংকট চলছে। এই সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য অন্তত ৫-১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে খোদ ডিএসইর সদস্যরাই শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার থেকে চলে যাচ্ছেন। ফলে পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ডিএসই সূত্র মতে, ডিএসইর শেয়ারের মালিক ২৫০ জন শেয়ারহোল্ডার। অর্থাৎ ২৫০ জন সদস্য। এর মধ্যে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর‌্যন্ত ১৪৩ জন সদস্য পুঁজিবাজারে টাকা বিনিয়োগ করবে, এই শর্তে ১০ শতাংশ কর ছাড়ে ডিএসই থেকে টাকা ৫৩৭ কোটি উত্তোলন করেছেন।

তার মধ্যে ৫০-৬০ জন তাদের পুরো টাকাই বাজারে বিনিয়োগ করেছেন। বাকিরা বিনিয়োগ শর্ত মেনে বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু ৯০ জন সদস্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন না বলে ডিএসই থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন। তাদের টাকার পরিমাণ সোয়া ৪শ’ কোটি টাকা।

অথচ বছরের প্রথম দিকে ডিএসই ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেছিলেন, কর ছাড় পেলে চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছে শেয়ার বিক্রির ৯৪৭ কোটি টাকাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু পুঁজিবাজারের এই ক্রান্তিকালে তারা অন্যত্র বিনিয়োগ করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, পুঁজিবাজারের স্বার্থে গত বছর সবাই বলেছিলাম (১৫ শতাংশ) গেইন ট্যাক্স সম্পূর্ণ মওকুফ করলে বাজারে বিনিয়োগ করবো। কিন্তু সরকার তো সম্পূর্ণ কর মওকুফ করেনি। দ্বিতীয়ত, আমরা যারা বিনিয়োগ করেছি, তাদের সবারই টাকা এখন ১৫-২০ শতাংশ লস। তাহলে জেনে বুঝে ক্ষতির জায়গায় কেন বিনিয়োগ করতে আসবে মানুষ?

নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএসইর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তরা বলেন, এখনও পর‌্যন্ত ২৩৩ জন সদস্য চীনা কনসোর্টিয়ামের টাকা তুলে নিয়েছেন। বাকি রয়েছেন ১৭ জন। তাদের নানা জটিলতা রয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা না দিতে কমিশন নিষেধ করেছে। আর কয়েকজনের পারিবারিক বাধা রয়েছে। তবে ৯০ জন সদস্য চীনা কনসোর্টিয়ামের টাকা তুলে নিয়েছেন এবং তারা অন্য খাতে বিনিয়োগ করেছেন।

উল্লেখ্য, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগাকরী হিসেবে ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। যা টাকার অংকে শেয়ারের মূল্য সাড়ে ৯শ’ কোটি টাকা। বাজারের চলমান আস্থা ও তারল্য সংকট দূর করে একটি স্থিতিশীল বাজার তৈরির লক্ষ্যে গত বছর এই টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর শেয়ারহোল্ডররা। তার জন্য তারা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এ টাকার ওপর থাকা ১৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে।

তিনি ন্যূনতম তিন বছর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসহ ছয়টি শর্ত মানলে ১০ শতাংশ কর মওকুফ দেওয়া হবে বলে নীতিমালা করেন দেন।

   

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার বদ্ধপরিকর: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই গরমের বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ – অর্থ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোন সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ৬টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ এর লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান এক হাজার ৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে তিন হাজার ৩০২ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করা।

এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে, এপিএসসিএল সিএসআর কার্যক্রমের জন্য ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গতবছর বেশ কিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে।

এসময় অন্যদের মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট )কার্যক্রমের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

;

সোনার দাম ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে কমল ৮৪০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দফা বাড়ানোর পর এবার কমানো হলো সোনার দাম। স্থানীয় বাজারে ভরিতে ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।

শ‌নিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা। যা সেদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন

ময়মনসিংহে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ময়মনসিংহ জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিএম মোহা. গিয়াস উদ্দিন কাদের।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ময়মনসিংহ জোনপ্রধান মো. আনিসুল হক। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. খলিলুর রহমান ও মো. আব্দুল জলিল এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল এমরানসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, ময়মনসিংহ জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধানগণ, উপ-শাখা ইনচার্জগণ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

;