সৌদি আরবের বিনিয়োগ আনতে ১৭ সদস্যের কমিটি



আসিফ সওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব ঘরে তুলতে ১৭ সদস্যের নির্বাহী মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ মনিটরিং কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্যসচিব মো নজিবুর রহমানকে।

৭ এপিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পরিচালক মো. মোশারাফ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক চিঠি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাহী কমিটি সৌদি আরবের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করতে চেষ্টা করবে। এ বিনিয়োগ যাতে খুব দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশে আসতে পারে সে জন্য এ নির্বাহী কমিটি কাজ করে যাবে । নির্বাহী কমিটিতে মোট ১৪ জন সচিব রয়েছে। এছাড়া এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আর পাবলিক ও প্রাইভেট পাটনারশিপের নির্বাহী কর্মকতা রয়েছেন।

সম্প্রতি তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে ও ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। কয়েকমাস আগে পাকিস্তানে ২ হাজার কোটি ও ভারতে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর অব্যবহিত পর বাংলাদেশ সফরে এসে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে উচ্চপর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল। যদিও ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব তৈরি করেছিল ঢাকা।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে সৌদি আরবের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মেদ আল তোয়াইজরি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী ড. মজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সফরকালে সৌদি দলটির কাছে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেই প্রায় ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশের প্রায় ২৯টি প্রস্তাবের মধ্যে দুটি চুক্তি এবং চারটি সমঝোতা করেছে সৌদি আরব।

সফরকালে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র (সোলার আইপিপি) নির্মাণে সৌদি প্রতিষ্ঠান আলফানার সঙ্গে চুক্তি করেছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি)। এতে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি প্রতিষ্ঠান। আর ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনে সৌদি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। এতে সাড়ে ৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে সফরকে কেন্দ্র করে বড় বিনিয়োগ আশা করছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এক সূত্র জানায়, সৌদি ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জয়েন্ট স্টক অফ ফার্ম অ্যান্ড কোম্পানিজ নিবন্ধন করেছে।

তারা বিডার ঊর্ধ্বন কর্মকর্তাকে জানিয়েছে, সৌদ আরব কেন আগে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেনি সেই বিষয়ে অফসোস করেছে। সৌদি বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, অনেক আগেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা যেত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সৌদি আরবের এত হাইপ্রোফাইল ডেলিগেশনের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। বিশেষ করে বিনিয়োগের আলোচনায় অতীতে সৌদি আরবের তরফ থেকে এমন আগ্রহ দেখানো হয়নি। ফলে ক্রাউন প্রিন্সের পাঠানো প্রতিনিধি দলের এ সফর থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল অনেক।’

একইভাবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম শুধু ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার নয়, বাংলাদেশে আরও বেশি সৌদি বিনিয়োগ আশা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতে সৌদি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত এসেছে দেশটির শীর্ষ পর্যায় থেকে। আর বাংলাদেশ থেকে যে প্রকল্পগুলো প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা নিয়ে দুই দেশই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি যৌথ টাস্কফোর্স করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা প্রকল্পগুলোকে নিয়ে কাজ করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে সময় শুধু নির্দিষ্ট অঙ্কের মধ্যে বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ থাকবে না। এ থেকে বলা যায়, বাংলাদেশে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সফরের দুয়ার খুলল।’

তবে বিনিয়োগ আকর্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে সৌদি আরবের আগ্রহ মূল্যায়নে জোরারোপ করে অনেকেই বলছেন, সৌদিরা তেল থেকে বের হয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে অন্যভাবে সাজানোর চেষ্টা করছে। তবে তারা কোন স্থানে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের সক্ষমতা ও বিনিয়োগের আগ্রহের কারণগুলোসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমরা কোন স্থানে রয়েছি, তা নিয়ে বাংলাদেশের একটি মূল্যায়ন থাকা উচিত। আমরা যে ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ চাই, তাতে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ কতটা রয়েছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। তুলনামূলকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিনিয়োগ আকর্ষণের ভাবমূর্তি কতটা রয়েছে, তা এখানে প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগের ভাবমূর্তিতে বাস্তব অর্থে দেখলে ভারতে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ হয় প্রতি বছর। পাকিস্তানে এত সংকটের পরও গত বছর প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। আমরা মাত্র ২০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে এসেছি। যারা বিনিয়োগ করে, তারা রিটার্নের বিষয়টিও চিন্তা করে।

সূত্র জানায়, সৌদি প্রতিনিধি দলের সফরকালে দুটি বিনিয়োগ চুক্তি ছাড়াও বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি আরবের আল মাম ট্রেডিং এস্টেটের মধ্যে জনশক্তি রফতানি বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্লান্ট নির্মাণে সৌদি আরবের ইউসুফ আল রাজি কনস্ট্রাকশন এস্টেটের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন। এছাড়া ‘সৌদি-বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সৌদি আরবের আল আফালিক গ্রুপ (এএইচ গ্রুপ) এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। আর বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) ও রিয়াদ কেবলস গ্রুপ অব কোম্পানির মধ্যে তার উৎপাদনের বিষয়ে স্বাক্ষর হয়েছে আরেকটি সমঝোতা স্মারক।

   

তীব্র তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সারাদেশে তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রোববার খুলবে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

;

বরিশালে ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

;

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

;