ছয় মাসে ৭০০ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম
ইয়াবা, ছবি: সংগৃহীত

ইয়াবা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ছয় মাসে ৭০০ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৭০০ জন। আর মামলা দেয়া হয়েছে পাঁচ শতাধিক। কঠোর পরিণতির কথা ভেবে অনেক মাদক ব্যবসায়ী কারাগার থেকে জামিন পর্যন্ত নিচ্ছেন না।

পুলিশ সুপার হিসেবে কুষ্টিয়ায় যোগ দেয়ার পর কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেন এসএম তানভীর আরাফাত।

তার মধ্যে সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেন মাদক দমনকে। সেই মোতাবেক ৬ মাসের একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগে নিজের ঘরে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। এখন পর্যন্ত মাদকের সাথে সম্পর্কের কারণে প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্যকে জেলা ছাড়া করেছেন। আর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের যে কোন মূল্য আইনের আওতায় আনতে ওসিদের নির্দেশ দেন। এখন পর্যন্ত পুলিশের নেয়া পদক্ষেপের কারণে মাদকের যে সিন্ডিকেট ছিল তা অনেকটা গুড়িয়ে গেছে।

সীমান্ত ঘেরা কুষ্টিয়া জেলায় মাদকের থাবা নিয়ে সব মহল কমবেশি উদ্বিগ্ন। কোনভাবেই মাদক বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে আগে মাদকের যে রমরমা উপস্থিতি ছিল তা আর এখন নেই। হাত বাড়ালেই এখন আর মাদক মেলে না। তারপরও সীমান্তসহ আশেপাশের জেলা দিয়ে মাদক কমবেশি জেলায় প্রবেশ করছে। আর ফেনসিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা না পেয়ে অনেকে বিকল্প মাদক হিসেবে টাপেন্টা নামক এক প্রকার ওষুধ সেবন করছে।

সম্প্রতি দৌলতপুরে এক মাদক বিরোধী সমাবেশে পুলিশ সুপার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘মাদক নির্মূল করতে না পারলে চুরি পড়ে জেলা থেকে চলে যাব।’ এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান তিনি। না হলে চূড়ান্ত পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে বলেন।’

এ ঘোষণার পর বদলে গেছে চিত্র।

সচেতন মহল মনে করেন, জেলার তিন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার পর কাঁপন ধরেছে মাদক সিন্ডিকেটে। এরপর জান বাঁচাতে শীর্ষরা গা ঢাকা দেয়া শুরু করে। অনেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। যেসব রাজনৈতিক নেতারা শেল্টার দিতেন তারাও সাবধান হয়েছেন।

পুলিশের গোপন সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের টিম দৌলতপুর ও ভেড়ামারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে ২ হাজার বোতল ফেনসিডিল, এক মণ গাঁজা, ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। মামলা দেয়া হয়েছে ৫ শতাধিক। একই সময় মাদক ব্যবসা, পরিবহণ ও সেবনের অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৭ শতাধিক ব্যক্তিকে।

এর মধ্যে ফেনসিডিল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আনা হয়। পরে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, পুলিশ সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন তালিকা প্রস্তুত করেছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পুলিশ মাদক নির্মূলে কাজ করছে। বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে পুলিশ মাঠে মাঠে কাজ করছে। মাদকের বিষয়ে কোনো অবহেলা সহ্য করা হবে না। সব শ্রেণী পেশার মানুষকে সচেতন করতে উপজেলাগুলোতে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জেলায় কোন মাদক থাকবে না। আর যারা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;