২১০ রান করলেই ট্রফি বাংলাদেশের
আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের জন্য বেশ বড়ো টার্গেটই পেয়েছে বাংলাদেশ দল। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বাংলাদেশকে ম্যাচের নির্ধারিত ২৪ ওভারে করতে হবে ২১০ রান। বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ২৪ ওভারে। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছিলো ১৩১ রান। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর মাত্র ২.৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়। সবমিলিয়ে তারা নির্ধারিত ২৪ ওভারে যোগাড় করে ১৫২ রান। তবে বৃষ্টি আইন জানাচ্ছে এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২১০ রান।
বৃষ্টি শেষে খেলা শুরুর পর বাংলাদেশের করা ২.৫ ওভার থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে মাত্র ২১ রান। লম্বা সময়ের বিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ের আগের দাপটটা বজায় রাখতে পারেনি। শেষের এই ২.৫ ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানও চমৎকার বোলিং করেন।
বৃষ্টিতে ভেজা ৫০ ওভারের ম্যাচটি পরিনত হয়ে গেলো প্রায় টি-টুয়েন্টিতে। লম্বা সময়ের জন্য কাভারে পিচ ঢাকা থাকায় উইকেট নিশ্চিতভাবে স্লো হতে বাধ্য। ব্যাটিংয়ের সময় এই স্লো উইকেটের সমস্যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কাটিয়ে উঠতে পারেন কিনা- সে বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ফাইনাল ম্যাচে শুক্রবার টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বোলিং বেছে নিয়েছিলেন। পিঠের মাংসপেশিতে চোটের কারণে সাকিব আল হাসান ফাইনালে খেলেননি। ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালো করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো ক্ষতি ছাড়া তুলে নেয় ৫০ রান। এরপর ধীরে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন উইন্ডিজের দুই ওপেনার সুনীর আমব্রিস ও শাই হোপ। দুজনেই বল ও রানের হিসেব প্রায় সমান সমান রেখে ইনিংস এগিয়ে নেন। শাই হোপ ৫৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন। আরেক ওপেনার সুনীল আমব্রিস ৬৫ বলে খেলছিলেন ৫৯ রান নিয়ে। বৃষ্টি থামলে খেলা শুরুর পর শাই হোপ ৭৪ রানে আউট হন। বাউন্ডারি লাইন চমৎকার কায়দায় তার ক্যাচ ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বোলার ছিলেন মেহেদি মিরাজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ওপেনার সুনীল আমব্রিস শেষপর্যন্ত ৭৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ড্যারেন ব্রাভো মাত্র ৩ বল খেলার সুযোগ পান। করেন ৩ রান।