সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে দুই বছরে বার্তা২৪.কম



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
উবায়দুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

উবায়দুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার মাপকাঠিতে ভর করেই তৈরি হয় সংবাদ। বর্তমানে প্রতি মিনিট বা মুহূর্তের আপডেটের জন্য সবার ভরসার মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন গণমাধ্যম। আর সেই গণমাধ্যম যদি হয় বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার জনকের হাতে গড়া, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। ‘বিসমিল্লাহ বলে শুরু পথচলা’ দিয়ে যাত্রা শুরু যে গণমাধ্যমের, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে আজ সেটি এক বছরের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

বলছিলাম আমার অনলাইন সাংবাদিকতার হাতেখড়ি, প্রাণের প্রতিষ্ঠান বার্তা২৪.কমের কথা। দেশের দু’দুটি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিষ্ঠার পর ডিজিটাল গণমাধ্যমের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা আলমগীর হোসেন নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন ‘বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথী-বার্তা২৪.কম’ নিয়ে। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে বার্তা২৪.কমকে গড়েছেন মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল হিসেবে।

তার বদৌলতেই আমার অনলাইন সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার শুরু হল। স্বপ্ন ছিল একদিন দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিকের সঙ্গে কাজ করব। হঠাৎ সেই স্বপ্ন ধরা দিল আমার ভুবনে। একজন আলমগীর হোসেনের বদান্যতায় তৃণমূলের এই আমি আজ দেশের প্রথম সারির অনলাইন নিউজপোর্টালের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। শুকরিয়া আল্লাহর কাছে, অশেষ কৃতজ্ঞতা বার্তা২৪.কমের ‘প্রাণভোমরা’ আলমগীর হোসেনের প্রতি।

Barta

মফস্বলে অনলাইন সাংবাদিকতা। তিনটি শব্দের এ বাক্যটি শুনলেই অনেকের চোখ বুঝি রীতিমত কপালে ওঠার অবস্থা। সেক্ষেত্রে গণিত বিভাগে অনার্স সম্পন্ন করা আমি চ্যালেঞ্জ নিলাম, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব অনলাইন সাংবাদিকতায়।

যে চিন্তা-ভাবনা সেই মোতাবেক কাজ। বার্তা২৪.কমের জন্য আমি দৌড়েছি ময়মনসিংহের এক মাথা থেকে আরেক মাথায়। আমার মোবাইল ফোনের কি-বোর্ড কখনও হয়ে উঠেছে এক প্রকার ল্যাপটপ, আবার এই মোবাইল ফোনেই ধারণ করেছি ভিজ্যুয়াল দৃশ্য। বার্তা২৪.কমকে বলা হচ্ছে, একের ভেতর দুই। অনেকেই নিউজ পড়ছেন, চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। আবার অসাধারণ সব ভিডিওতে হারিয়ে যাচ্ছেন গভীরে।

যেমন মা দিবসে আমার একটি ভিডিও স্টোরি দেখে বেশ কয়েকজন ফোন করে শুভ কামনা জানালেন। তারা বলেছেন, ভিডিও স্টোরিটি দেখে তারা ছোটবেলায় হারিয়ে গেছেন। মাকে অনুভব করেছেন হৃদয়ের সবটুকু উষ্ণতায়।

টেলিভিশনে রিপোর্টিং করার প্রবল ইচ্ছা নিয়েই মূলত আমার সাংবাদিকতায় আসা। কিন্তু চাইলেও সেই সুযোগটা কখনও হয়ে ওঠেনি। তবে দেশের প্রথম ও জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম সেই সুযোগটা আমাকে করে দিয়েছে।

এখানে একাধারে আমি অনলাইন পোর্টালের জন্য রিপোর্ট ও টেলিভিশনের মত করে পিটিসিসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ করতে পারছি, যা ছিল আমার চাওয়া। এক্ষেত্রে টেলিভিশনে কাজ করতে না পারার যে আক্ষেপ আমার মনে ছিল সেটি অনেকাংশেই কমে গেছে। সেজন্যই বার্তা২৪.কম হচ্ছে একের ভেতর দুই। আমার স্বপ্নে পূর্ণতা দেওয়া গণমাধ্যম।

আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান বার্তা২৪.কমের প্রথম বর্ষপূর্তিতে মনে পড়ছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা বিমল পালের গল্পগাথা। যেটি তুলে ধরেছিলাম আমাদের এই মাল্টিমিডিয়ায়। একজন বিমল পাল দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পথে-প্রান্তরে এবং স্কুলে ঘুরে ঘুরে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করছেন। তার এমন মহৎ কাজকে ছড়িয়ে দিতে আমি তাকে নিয়ে রিপোর্ট ও প্যাকেজের মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করি।

প্যাকেজটি ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার হবার পর বিমল পাল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমের প্রতি। আলাপচারিতায় তার একটি কথা আমার মনে গেঁথে আছে। তিনি বলেছিলেন-এখন মানুষ টিভির চেয়ে অনলাইনমুখী বেশি। চলার পথে ও ব্যস্ততার শেকলবন্দী জীবনে মানুষের টিভি দেখার ফুসরত হয়ে ওঠে না।

তাই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও কিন্তু বেছে নিয়েছে অনলাইনকেই। বার্তা২৪.কম যেমন একটি রিপোর্ট ফেসবুকে বা ইউটিউবে প্রচার করে, টিভি চ্যানেলগুলোও একই কাজ করছে। কারণ দর্শক এখন অনলাইনমুখী।

বার্তা২৪.কম শুধু কি এলিট শ্রেণীর গণমাধ্যম? বিষয়টি অবশ্যই তেমন নয়। খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্ন সাধ মেটানোর অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে বার্তা২৪.কম। বিশেষ করে অনলাইন সাংবাদিকতার রূপকারের নির্দেশনায় আমরা সেই বিষয়টিই বারবার আঁচ করতে পেরেছি এবং সেই মোতাবেক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের নিয়োজিত করেছি মাঠ সাংবাদিকতায়।

কিছু কথা না বললেই নয়। উদাহরণ দেব বার্তা২৪.কমে আমার প্রকাশিত আরও কয়েকটি সংবাদের। যেসব সংবাদের শিরোনাম যেমন ছিল আকর্ষণীয়, তেমনি গভীর আবেদনও ছিল। সংবাদগুলো প্রকাশে অনেকের জীবন ঘুরেছে, আবার অনেকে ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। আবার অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্নে দিন গুজরান করছেন।

একদিন আমার কাছে খবর এল, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন হাশেম নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। এক সময় তার ছিল সবকিছু, কিন্তু এখন তিনি সব হারিয়ে নিঃস্ব। শেকলবন্দি হয়ে কাটছে তার জীবন।

তাকে নিয়ে বড্ড অসহায় তার বৃদ্ধ বাবা। তার নিদারুণ কষ্ট আর জীবনের গল্প তুলে আনলাম বার্তা২৪.কমে। অতঃপর নজরে এল স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদারের। তিনি তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন।

ব্রহ্মপুত্র পাড় ঘেঁষা জয়নুল উদ্যানে একদিন হাঁটতে হাঁটতেই চোখে পড়ল বয়স্ক একজন মানুষের অন্যকম জীবনযুদ্ধ। কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম তার কাছে। জমে গেল আলাপচারিতা।

তিনি জানালেন, তার জীবনের অনন্য সংগ্রামের কথা। তার নাম আব্দুল আজিজ। সংসারে স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও গৌরীপুরে নিজের বাড়ি ছেড়ে ময়মনসিংহ থাকেন শুধু স্বনির্ভর থাকার জন্যই। তাকে নিয়ে করা আমার স্টোরিটি ময়মনসিংহে প্রশংসিত নিউজের মধ্যে অন্যতম।

Barta

সাধারণত সাংবাদিকতার প্রাণ ধরা হয় মাঠ সাংবাদিকতাকে। তৃণমূল সংবাদকর্মীকে বলা হয় সংবাদের ফেরিওয়ালা। যেহেতু সংবাদেরই পেছনে ছুটে চলাই আমাদের কাজ। এক্ষেত্রে আমাদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ভিন্নধর্মী ‘এক্সক্লুসিভ’ সংবাদ তুলে আনার। পাঠকের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার।

মাত্র মাস দু’য়েক আগের ঘটনা। এক রাতে নগরীর টাউনহল থেকে সানকিপাড়া বাসার দিকে ফিরছিলাম। হঠাৎ এগিয়ে আসা এক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। এসময় আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, তার সংগ্রামী জীবনের দিনলিপি। জানালেন, তার এক ছেলে পড়াশোনা করছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আর আরেক মেয়ে অনার্সে পড়ছেন মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজে। সংসারের খরচ আর সন্তানদের স্বপ্নপূরণ করতে দিনে কৃষি কাজ ও রাত হলেই রিকশা নিয়ে ঘোরেন শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা। তাকে নিয়ে করা সংবাদটি বার্তা২৪.কমে প্রকাশ হলে পাঠক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।

মানসিক ভারসাম্যহীন সোহেলের কথা কি মনে আছে? নামটি অবশ্যই ময়মনসিংহবাসীর জন্য খুবই পরিচিত। সাংবাদিক-পুলিশ মিলে তার জীবন পাল্টে দিয়েছিলেন। আর তাদের অসাধারণ ভালো উদ্যোগের খবর প্রথম সচিত্র প্রতিবেদন এবং ভিডিও স্টোরি করে বার্তা২৪.কম।

যেটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। বার্তা২৪.কমের খবরের সূত্র ধরেই চার বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি ফিরে পায় তার পরিবারকে। তিনি এখন সুখে স্বচ্ছন্দেই জীবন কাটাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এমন খবরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বার্তা২৪.কম।

এবার বার্তা২৪.কমকে আরও বেশি দেবার পালা। একজন বটবৃক্ষ আলমগীর হোসেনের আশীর্বাদ আর মানসিক জোরই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি। জয় হোক বার্তা২৪.কমের। রৌদ্রোজ্জ্বল হোক এই মাল্টিমিডিয়ার সামনের দিনগুলো। অশেষ ধন্যবাদ বার্তা২৪.কমের পাঠকমহলকে।

   

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ১৮দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে জাহাজটির মালিকপক্ষের আলোচনা চলমান থাকলেও এখনো নাবিকদের মুক্তি নিয়ে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হয়তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না নাবিকদের।

ঈদের আগে নাবিকদের উদ্ধার করার কথা প্রচার হচ্ছে কোথাও কোথাও। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। তবে এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখার একটা বিষয় আছে। সেজন্য হয়তো কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকবার জায়গা বদলের পর বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ আদায়ের পর জাহাজ থেকে নেমে গিয়েছিল দস্যুরা। ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর মুক্তিপণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। মুক্তিপণ চাওয়ার পর মালিকপক্ষ থেকে দর কষাকষি করা হবে। তখন ৪০দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণের বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছিল। এরপর চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হয় দস্যুদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়। পরে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জাহাজে এসে সেই টাকা ভাগ করে দস্যুরা। এরপরই জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। অর্থাৎ সমাঝোতার পরও মুক্তি পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়।

অবশ্য নাবিকদের উদ্ধারে দেরি হলেও ভালো খবর হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুদের পক্ষ থেকেও ভালো আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর কোনো নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনা শুরু করেছে দস্যুরা। ফলে খাবার নিয়ে নাবিকদের মধ্যে থাকা দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।

অবশ্য জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। নাবিকদের সঙ্গেও তারা ভালো আচরণ করছে। নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাজের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। আশা করছি খুব দ্রুত নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সমাঝোতা হবে। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

;

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক। যদি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে শিক্ষার সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দ্বিতীয় ডিআরএমসি জাতীয় রমাদান ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের আলো সঞ্চারিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তারা সকল ধরণের অন্যায়-অনাচার, পাপাচার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পাবে এবং তারা আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা গড়ে তুলতে পারবো একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ ও সঞ্চারিত করার জন্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

;

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;