উড়ন্ত ড্রাগনের ‘নতুন প্রজাতির’ সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
উড়ন্ত ড্রাগনের সন্ধান মিলেছে গবেষণা থেকে

উড়ন্ত ড্রাগনের সন্ধান মিলেছে গবেষণা থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রাগন নিয়ে মানুষের কত শত ফ্যান্টাসি। সেই ফ্যান্টাসি আরো জোরদার হয়েছে বহুল জনপ্রিয় ‘গেম অব থ্রোনস’ সিরিজের পর। আলোচিত সেই ড্রামা সিরিজে উড়ন্ত ড্রাগন দেখে তরুণ প্রজন্মের কল্পবিলাসী মনের আফসোস যেন আরো বেড়ে গিয়েছে। ‘লেডি অব ড্রাগনস্টোন’খ্যাত ডেনেরিয়াস টাইগেরিয়ানের মতো উড়ন্ত ড্রাগনের মালিক যদি হওয়া যেত!

কিন্তু ড্রাগন এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে শত বছর আগে। ড্রাগনের বসবাস, আকার, অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও রয়েছে নানান মতভেদ। কিন্তু ড্রাগন নিয়ে তাদের অনুসন্ধান থেমে নেই।

ড্রাগন নিয়ে নিত্যনতুন তথ্য দিয়ে তারা চমকে দিচ্ছেন প্রায়শ। সম্প্রতি গবেষকরা দাবি করেছে, পৃথিবীতে এক সময় উড়ন্ত ড্রাগন ছিল। যাদেরকে টেরোসর (Pterosaur) বলা হয়।

‘ক্রিয়োড্রাকন বোরস’ নামে এই প্রজাতির সরীসৃপ হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উড়ন্ত টেরোসরদের মধ্যে অন্যতম, যা এতদিন অনাবিষ্কৃতই ছিল। ‘ক্রিয়োড্রাকন বোরস’ প্রজাতিকে ‘ফ্রোজেন ড্রাগন অব দ্যা নর্থ উইন্ড’ বলেও ডাকছে বিজ্ঞানীরা। উত্তর আমেরিকার আকাশে ৭৭ মিলিয়ন বছর আগে তারা উড়াউড়ি করত। ‘গেম অব থ্রোনস’ সিরিজের ড্রাগনের মতো এদেরও নিঃশ্বাসের সাথে নীল আগুনের গোলা মুখ থেকে বের হত কি না, কিংবা আদৌ সেগুলো ড্রাগন ছিল কি না তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বিজ্ঞানীদের দাবি দৈত্যাকারের উড়ন্ত এই সরীসৃপগুলোর দুই পাখার দূরত্ব ছিল ৩২.৮ ফুট।

উড়ন্ত এই সরীসৃপের জীবাশ্ম ৩০ বছর আগে কানাডার আলর্বাটায় ডাইনোসর প্রভিন্সিয়াল পার্কে পাওয়া যায়। পার্কটি ইউনেস্কো ঘোষিত ‘বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান’ যেখানে নানা প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়। জীবাশ্ম বিষয়ক গবেষক তথা প্যানিয়ালটোলোজিস্টরা যখন এই জীবাশ্মগুলো আবিষ্কার করে তখন তাদের ধারণা ছিল- হয় এগুলো ক্যাটজোকায়ালাস (Quetzalcoatlus) প্রজাতির টেরোসর, যেগুলো প্রাথমিকভাবে টেক্সাসে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু না! নতুন গবেষণায় দেখা যায়, ক্রিয়োড্রাকন প্রজাতি এতদিন অনাবিষ্কৃতই ছিল, যা প্রথমবারের মত কানাডায় পাওয়া গেল। জীবাশ্মর মধ্যে পা,গলা,পাঁজর ও পাখার কিছু অংশ পাওয়া যায়।

ক্রিয়োড্রাকন (Cryodrakon) হল টেরোসরের আজহ্ডারকিডস (Azhdarchids) পরিবারের অংশ যাদের গলা অনেক লম্বা হত। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড হোন বলেন, ‘এটা একটা চমৎকার অবিষ্কার। আমরা জানতাম এ ধরনের প্রাণী ছিল, এখন এটাকে আজহ্ডারকিডস পরিবারের থেকে পার্থক্য করা সম্ভব হল। নতুন একটা নামও দেয়া গেল।’

এর মধ্য দিয়ে উত্তর আমেরিকায় টেরোসরেদের বৈচিত্র্য ও বিবর্তন নিয়ে একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন হোন। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা হল- জীবাশ্মগুলো থেকে প্রাপ্ত হাড়গুলোতে কী পরিমাণ মাংস থাকত সে তথ্য বের করা। এতে করে ক্রিয়োড্রাকন কীভাবে চলাফেরা করত ও মাটি থেকে আকাশে উড়ত তার একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে।

   

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি করা একটি সুবৃহৎ আকারের ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ ছাড়াও একটি নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে, ‘হাওয়াসাল-১ আরএ-৩' কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা একটি সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন।

এ ছাড়াও, শুক্রবার বিকেলে একটি ‘পিওলজি-১-২’ এর একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও করেছে উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএ জানিয়েছে, পিওলজি-১-২ একটি নতুন ধরণের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

কেসিএনএ আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘এই অস্ত্র পরীক্ষা ছিল প্রশাসন এবং এর অধিভুক্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে তার গভীর সামরিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে ইউক্রেনে তাদের যুদ্ধের ক্ষমতা প্রসারিত করতে রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।

;

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হামাস প্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

ইরান এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির কথা জানানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই তিনি এ সাক্ষাত করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এরদোয়ান। তবে, তিনি হামাস প্রধানের সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আন্তরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের এবং হানিয়ার মধ্যে আলোচ্যসূচি রাখব।’

তবে কাতার বলেছে, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে দোহায় পাঠান এরদোয়ান।

২০১১ সাল থেকে হামাসের একটি কার্যালয় রয়েছে তুরস্কে। ওই সময় ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার জন্য হামাস গ্রুপের জন্য চুক্তিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছিল আঙ্কারা।

;

‘ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি যুক্তরাষ্ট্র’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বলেছে, ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার পেছনে তাদের বাহিনীর কোনো হাত নেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘দেশটিতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে এমন কথা সত্য নয়।’

এর আগে ইরাকের মধ্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার রাতে বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এবং একজন সামরিক কর্মকর্তা শুক্রবার জানান, ক্যালসো ঘাঁটিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সাবেক ইরানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী, বর্তমানে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূত হাশেদ আল-শাবি’র অবস্থান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই হামলায় একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ইরাকের তিনজন সামরিক কর্মী আহত হয়েছে।

হামলায় আহতের সংখ্যা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে হাশেদ আল-শাবি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এএফপি’র প্রশ্নের জবাবে, সূত্রগুলো এই হামলার জন্য কে দায়ী বা এটি একটি ড্রোন হামলা ছিল কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং যানবাহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো ছিল সরঞ্জাম সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ।এখনও আগুন জ্বলছে এবং আহতদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গঠিত প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এই হাশেদ আল-শাবি এখন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং তেহরানের সমর্থিত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা হামাসের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, ইরানের ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে তেহরান।

;

যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের বাইরে নিজেকে দগ্ধ করা ব্যক্তির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো মারা গেছেন।

ম্যানহাটনের ওই আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ চলছিল।

এ সময় আদালতের বাইরে নিজের শরীরে আগুন দেন ৩৭ বছর বয়সি ম্যাক্সওয়েল।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রাম্প আদালতকক্ষে ছিলেন। ঘটনার পরপর ট্রাম্প আদালত ত্যাগ করেন।

ম্যাক্সওয়েল প্রথমে বাতাসে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের’ প্রচারপত্র ছুড়ে দেন। এরপর নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

গুরুতর অবস্থায় ম্যাক্সওয়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

তদন্তকারীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকতেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন।

ম্যাক্সওয়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে নেই।

ম্যাক্সওয়েল যে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।

;