গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে অ্যাকাউন্ট খুলেছে সাউথ বাংলা ব্যাংক!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাউথ বাংলা ব্যাংক

সাউথ বাংলা ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোন ব্যাংকের শাখায় গেলে ওই ব্যাংকের অ্যাকাউন্টধারী কোন ব্যক্তিকে দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্রে শনাক্তকারীর স্বাক্ষর করাতে হয়।

শুধু শনাক্তকারীর স্বাক্ষরই যথেষ্ট নয়। অ্যাকাউন্টে একজন নমিনী মনোনীত করতে আবেদনপত্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ও এক কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি দিতে হয়।

এসব তথ্যের বাইরেও অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে মানতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খোলার আগে গ্রাহক সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য নির্ধারিত কেওয়াইসি ফর্মে দিতে হবে।

আর এসব বিধি নির্দেশ উপেক্ষা করে এনআরবি কমার্সিশিয়াল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক আমির হোসেনের ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেছে বেসরকারিখাতের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা।

শুধু নির্দেশনা উপেক্ষা নয়। হিসাব খোলার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশে ছিলেন, নাকি বিদেশে অবস্থান করেছেন তার স্বপক্ষে উপযুক্ত কোন প্রমাণ দিতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আমির হোসেনের অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্রের শনাক্তকারী মো. সওকত হোসেনও চেনেন না।

এসব কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অ্যাকাউন্টধারী আমির হোসেনের অনুপুস্থিতিতেই সাউথ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেই অ্যাকাউন্টে মাধ্যমে একটি ঋণ আবেদন করা হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েঠে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এই ঋণকে বেনামী বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মতামত দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আমির হোসেনের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ব্যাকের গুলশান শাখায়। আমির হোসেন এনআরবি কমার্সিশিয়াল ব্যাংকের একজন উদ্যোক্তা পরিচালক।

আমির হোসেনের মালিকানাধীন আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের নামে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলার তিনদিনের মাথায় ২০ কোটি টাকার একটি ঋণ আবেদন করা হয়। মঞ্জুরিপত্রের শর্ত শিথিল করে একদিন পর ঋণের পরিমাণ আরও ৫ কোটি টাকা বাড়ানোর সুপারিশ করে পরিচালনা পর্ষদ।

অনুমোদনের পর মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্রেডিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের লিখিত অনুমতি ছাড়াই ঋণের ১০ কোটি ছাড় করা হয়েছে। ঋণের ২৫ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৭ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে।

বাকি ২৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচা অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের পরিচালক মাকসুদুর রহমানের মালিকানাধীন রতনপুর গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তা বিভিন্ন শাখা হতে নগদ উত্তোলন করেছেন। এর মধ্যে কিছু অর্থ আবার রতুনপুর গ্রুপের মালিকানাধীন রেক্স মটরস’র হিসাবে জমা করা হয়েছে।

রতনপুর গ্রুপের মালিক মাকসুদুর রহমানের কন্যা আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একজন পরিচালক। আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক আমির হোসেনের নামে ঋণ নিয়ে বেনিফিশিয়ারী হয়েছেন রতনপুর গ্রুপের মালিক মাকসুদুর রহমান।

মাকসুদুর রহমান আমির হোসেনের অনুপুস্থিতিতে ব্যাংক হিসাব খুলে এনআরবি কর্মাসিশিয়াল ব্যাংকের বেনামী শেয়ার বিক্রি বন্ধকের নাম করে নিজের ব্যাংক থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ভিন্নখাতে অর্থ স্থানান্তর করেছেন।

এসব তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে।

মাকসুদুর রহমান নিজের ব্যাংকে প্রভাব খাটিয়ে বেনামী প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে গ্রহণ করা ঋণের কোন টাকা ফেরত দেন নাই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, অবিলম্বে আদায় না হলে তা মন্দমানে পরিণত হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা ছাড়াও ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি শাখায় ঋণ বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। 

এবিষয়ে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম ফারুক বলেন, গুলশান শাখার ঋণ হিসাবই এখন নিয়মিত আছে। আটলান্টিক রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।

   

শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রায় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। শিশুদের খাবারে যাতে চিনি যুক্ত করা না হয় এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানদণ্ড পরীক্ষায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় সামনে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিএসটিআই’র পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুধ ও সিরিয়াল পণ্যগুলোতে বাড়তি চিনি ও মধু যুক্ত করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। নেসলের শিশুখাদ্যে বাড়তি চিনি যুক্ত করার আইন লঙ্ঘনের এই ঘটনা কেবল এশিয়ান, আফ্রিকান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক থেকে একজন শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাতে প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম বাড়তি চিনি উপস্থিতি আছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেসলের শিশুখাদ্য পণ্যের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গবেষণায় পাওয়া ফল একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল কিংবা দূষণের কারণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। এক গবেষণায় নেসলের দুটি পণ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। বিএসটিআই’র মানদণ্ডে পরিমাপ করব। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পণ্য দুটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করব। এছাড়া মামলা করারও সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে নেসলের ১৫টি সেরেলাক শিশুখাদ্য থেকে একটি শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্য জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি চিনি ছাড়াই। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডে এই চিনির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই সূত্র জানায়, এটি অন্য দেশের তৈরিকৃত পণ্য। তবে এগুলো আমাদের দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী এক নাও হতে পারে। সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে, তাই এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে পদক্ষেপ নেব।

;

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;