বিজিএমইএ নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে আধা ঘণ্টার বিরতি দেওয়া হয়। সাড়ে ৪টায় ভোট গণনা শুরু হয়।
এবারের নির্বাচনে এক হাজার ৯৫৫ জন ভোটার রয়েছেন বিজিএমইএতে। এর মধ্যে ঢাকার ভোটার এক হাজার ৫৯৭ জন। চট্টগ্রামের ভোটার সংখ্যা ৩৫৮ জন। উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দেন পছন্দের প্রার্থীকে।
জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নির্বাচনে অংশগ্রহকারী উভয় পক্ষই। পরিষদ-ফোরাম জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা বলছেন নিজেদের জনপ্রিয়তার কথা।
পরিষদ-ফোরাম জোটের প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির বলেন, আমরা জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। আমাদের ওপর আস্থা রয়েছে ভোটারদের। জয় আমাদের হবেই।
অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের চিন্তা খানিকটা বেশি। কারণ কোনো পোলিং এজেন্ট নেই তাদের। ফলে গণনা নিয়ে একটু বেশিই ভাবতে হচ্ছে তাদের।
স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থী আয়শা আক্তার বলেন, আমাদের কোনো পোলিং এজেন্ট ভেতরে নেই। নানা ভয়ভীতি তাদের দেখানো হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছিলাম, যাতে আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে ভোট গণনার সময় অন্তত থাকতে দেওয়া হয়; কিন্তু আমরা অনুমতি পাইনি। তবে আমরা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হচ্ছে বিজিএমইএ'র নির্বাচন। পরিষদ-ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ভোটাররা ঢাকা অঞ্চলের ২৬ জন পরিচালক নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সেক্ষেত্রে একটি ব্যালট পেপারে ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬টি ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। তবে এক্ষেত্রে বেশ খানিকটা সাবধান হতে হবে ভোটারদের। ২৬ জনকে ভোট দিতেই হবে একজন ভোটারকে, নয়তো ব্যালট পেপার বাতিল হয়ে যাবে।
তবে চট্টগ্রামের পরিচালকদের জন্য ভোট দিতে হয়নি ভোটারদের। পরিষদ-ফোরাম জোটের নয় জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মূল্য বৃদ্ধিই আগামী নেতৃত্বের বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই সভাপতি
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে