জরিমানার পরও টি কে গ্রুপের ভেজাল তেল বাজারে 



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাবের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার পর ভেজাল মিশ্রিত সরিষার তেল ‘পুষ্টি’ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার দাবি করেছে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান টি কে গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সরিষার তেল তুলে নেওয়ার দাবি করা হলেও গ্রাম পর্যায়ে আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে। শহর পর্যায়েও এখনো বেশকিছু দোকানে সরিষার তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর সয়াবিন তেল শহর-গ্রাম সব জায়গায় বিক্রি হচ্ছে আগের মতই। তেল ক্রেতা, দোকানদার ও ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

মেয়াদোত্তীর্ণ তেল নিয়ে পাইপ লাইনে দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে আবার বাজারে ছাড়ার অভিযোগে ৭৫ লাখ টাকার জরিমানা করা হয় টি কে গ্রুপকে। হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা আসে বাজার থেকে পুষ্টির সরিষার তেল তুলে নেওয়ার। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় অনলাইন মাল্টিমিডিয়া বার্তা২৪.কম এ। এরপরও প্রায় আগের মতই ভেজাল মিশ্রিত তেল বিক্রি করে যাচ্ছে  টি কে গ্রুপ।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বাজারের ভেজাল তেল প্রায় আশিভাগ তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে সরেজমিনে এখনো বাজারে পাওয়া গেছে  পুষ্টির ভেজাল তেল।  

ক্রেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, পুষ্টি সয়াবিন তেল কারখানায় ভেজাল হলে বাজারের তেল কিভাবে  খাঁটি হয়? কীভাবে ভেজাল মিশ্রিত তেল বাজারে দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে টি কে গ্রুপ।

বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেছেন, রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেট ও সুপার শপগুলোতে এখনো বিক্রি হচ্ছে পুষ্টি সয়াবিন তেল। জরিমানা দিয়ে ভেজাল মিশ্রিত পুষ্টি সয়াবিন তেল কি খাঁটি হয়ে গেল? এমন হাজারো প্রশ্ন তুলছেন ক্রেতারা।

ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় পুষ্টির সরিষা তেল বাজার থেকে তুলে নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনার পর রাজধানীর কিছু কিছু মার্কেট থেকে তেল ফেরত নিতে শুরু করেছে টি কে গ্রুপ। তবে গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেই তেল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর কাওরানবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে দোকানগুলোতে এখনো পুষ্টির সয়াবিন তেলের পাশাপাশি সরিষার তেলের বোতল রেখে দেওয়া হয়েছে।

কাওরান বাজার এলাকায় বাজার করতে আসা জাহিদুল ইসলাম নামের এক ভোক্তা অভিযোগ করে বলেন, সেদিন টিভিতে দেখেছি পুষ্টি সয়াবিন তেলের কারখানায় মেয়াদোত্তীর্ণ তেল প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে সরবরাহ করছে। তাহলে আমরা এতদিন যে তেল খেয়েছি সেটা ভেজাল ছিল। এর জন্য আসলে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, ওই দিন দেখার পর আমি আর পুষ্টি সয়াবিন তেল কিনছি না, কিন্তু সবাই তো আর আমার মত সচেতন না। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বাজার থেকে ভেজাল তেল তুলে নেওয়া।

এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশনার বার্তা২৪.কম এর পক্ষ থেকে এনিয়ে যোগাযোগ করা হয় একটি জেলার পুষ্টির ডিলারের সঙ্গে।

সেই ডিলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,  আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুষ্টির সরিষার তেল। তবে আমাদের এখানে সেভাবে সরিষার তেল চলে না। যে দুই এক কার্টন আছে সেগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে সয়াবিন তেল বাজারে আগের মতই রয়েছে।

এ বিষয়ে টি কে গ্রুপের হেড অব ব্রান্ড অ্যান্ড কমিনিউকেশন্স ইব্রাহিম খলিল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাদের সরিষার তেল বাজার থেকে তুলে নেওয়া শুরু করেছি। গত কয়েক দিনে প্রায় ৮০ শতাংশ তেল বাজার থেকে তুলে নিয়েছি। তবে সয়াবিন তেলে যেহেতু কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই তাই সেগুলো বাজারের আগের মতই আছে।

তবে এই মুহূর্তে বাজারে কি পরিমাণ পুষ্টির সয়াবিন তেল রয়েছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটির কর্তারা। তবে তারা প্রতিদিন কয়েক লাখ কার্টন সয়াবিন তেল বাজারে ছাড়ছে বলেও জানান। 

উল্লেখ্য, গত ৫ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় পুষ্টি সয়াবিনের একটি কারখানায় র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ তেল বাজারজাত করণের দায়ে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

  আরও পড়ুন:মেয়াদোত্তীর্ণ তেল নিয়ে টি কে গ্রুপের ঔদ্ধত্য!

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;